ভোলার মনপুরায় জবাই করা হরিণের ১৫ কেজি মাংসসহ এক শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় সংঘবদ্ধ চক্রের অপর পাঁচ সদস্য পালিয়ে যায়।  

মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে উপজেলা সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশের পাকা সড়ক থেকে ওই শিকারিকে আটক করা হয়। তার নাম মো. কালু। তিনি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ গ্রামের গেদু সর্দারের ছেলে। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন– পালিয়ে যাওয়া শিকারি চক্রের সদস্য মো. শাখাওয়াত, মো. শাহীন, সামসুল আলম, ফারুক ওরফে কালা ফারুক ও মো. কুট্টি। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

পুলিশ জানায়, একদল শিকারি বদনারচর থেকে হরিণ ধরে জবাই করে এবং মাংস ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে যাচ্ছিল– এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ব্যাগ হাতে একদল লোক যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও হরিণের ১৫ কেজি মাংসসহ কালু গ্রেপ্তার হয়। তার কাছে চক্রের অন্য সদস্যদের নাম জানা যায়।

মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান, কালুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হরিণ শিকার ও জবাই করার ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।