দেবিদ্বারে অনুমতি ছাড়াই বাণিজ্য মেলার আয়োজন করায় গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার মেলাটি উদ্বোধন করার কথা ছিল। মঙ্গবার সকাল ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে মেলার সব আয়োজন গুঁড়িয়ে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা।

স্থানীয়রা জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামে তাঁত ও বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। মাঠের চারপাশের অর্ধশতাধিক দোকান, বিশাল টাওয়ার, বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড স্থাপন এবং মাঠের মধ্যভাগে গর্ত করে ফোয়ারা নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

অভিযোগ রয়েছে, আগেও এই মাঠে বাণিজ্য মেলা, তাঁত মেলা আয়োজন করা হয়েছে। তবে এসব মেলায় বাণিজ্য বা তাঁত মেলার কোনো ঐতিহ্যই লক্ষ্য করা যায়নি। বিভিন্ন কোম্পানির বাতিল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করে ভোক্তা ও ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। প্রতিবারই ঈদুল আজহা সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। খেলাধুলার মাঠে মেলা হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় ক্রীড়াপ্রেমীদের।

মেলার অন্যতম আয়োজক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ওমানী। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমোদনসহ সব নিয়ম মেনেই শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য মেলার আয়োজন করেছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় প্রতিপক্ষ মেলার বিরোধিতা করে তা বন্ধ করে দিয়েছে।’

দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার আবেদ জানান, একাধিকবার মেলা বন্ধ রাখার জন্য আয়োজকদের বলেছেন তারা। কিন্তু নিষেধ অমান্য করে মেলার স্টল ও রাইডস নির্মাণ করায় পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে থানা পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, ‘বাণিজ্য মেলা বা তাঁত মেলা আয়োজনের কোনো চিঠি পাইনি। কারা এ মেলার আয়োজন করছে তাও জানি না। মেলার বিষয়ে কোনো অনুমোদনও দিইনি। তাই মেলা বন্ধ করে সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের ভাষ্য, কেবল বাণিজ্য মেলাই নয়, কোনো মেলার অনুমোদনই দেননি তিনি।