- সারাদেশ
- গাজীপুরে হারার কারণ খুঁজছে আওয়ামী লীগ
গাজীপুরে হারার কারণ খুঁজছে আওয়ামী লীগ

ফাইল ছবি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে মূল্যায়ন কমিটির সভা। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কারা কাজ করেছেন তা খোঁজা হবে। বিএনপিবিহীন নির্বাচনে দলের পরাজয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন চাপে এবং বহিষ্কার আতঙ্কে।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবারে ভোটে নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হলে, নির্বাচনে থেকে যান জায়েদা খাতুন। তাই বলা হচ্ছে শাসকদল থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীরের ছায়ার বিরুদ্ধে হেরেছে নৌকা। অভিযোগ রয়েছে, দলটির নেতাকর্মীরা গোপনে কাজ করেছেন জায়েদার টেবিল ঘড়ির পক্ষে। নৌকাকে হারাতে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে বিপুল টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
আজমত উল্লাও অভিযোগ করেছেন, দলের ‘বেঈমানদের’ গাদ্দারিতে হেরেছেন। তিনি গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। দলীয় প্রধান নৌকার পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেন। মহানগর আওয়ামী লীগকে সাজাতে বলেন। মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মূল্যায়ন সভা আয়োজনের নির্দেশনা দেন।
দলীয় প্রধানের এসব নির্দেশের কথা জানিয়ে আজমত উল্লাহ বলেছেন, নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী কাজ করেছেন। তার কিছু প্রমাণও আছে। তবে কারও মুখের কথা শুনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে উপকমিটি করে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানের প্রস্তাবনা এসেছে। মাঠের প্রকৃত চিত্র জানতে এবং দলের মধ্য থেকে যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে, তাদের শনাক্তে মূল্যায়ন সভা করা হবে।
আজমত উল্লার ভাষ্য, যারা একবার নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, তারা পরে আবার দেবে, এ নিশ্চয়তা নেই। তিনি জানান, তাই সংগঠনকে তৃণমূল থেকে গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আজ বুধবার সকালে মহানগরের কাশিমপুর ও বিকেলে কোনাবাড়ি এলাকায় মূল্যায়ন সভা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। নৌকার প্রার্থী বলেছেন, ৯টি সাংগঠনিক থানায় মূল্যায়ন সভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শীর্ষ নেতা ছাড়াও থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে উপস্থিত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের সকল কাউন্সিলর প্রার্থীকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। মূল্যায়ন সভায় নেতাকর্মীর কাছ থেকে পাওয়া মতামতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি ছিল। নৌকার প্রার্থী এবং তাঁর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনাকারীরা তা ধরতে পারেননি। আর নৌকার প্রচারে বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছিল। তাই মনে হয়েছিল, আজমত উল্লার পক্ষে জোয়ার তৈরি হয়েছে। প্রচারে বহিরাগতরা থাকায় মাঠের প্রকৃত চিত্র বোঝা যায়নি। আর ভোটের দিনে নৌকার ব্যাচ করে নেতাকর্মীর ঘড়ির পক্ষে কাজ করেন।
মন্তব্য করুন