সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৩৭ লাখ টাকার সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার আগেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী পশ্চিমপাড়া খলিলের মোড় থেকে জামথল পর্যন্ত সড়কে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ হয়ে গেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে সড়কের কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে সপ্তাহ না ঘুরতেই অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। বৃষ্টি হলে রাস্তাটি আগের মতো বেহাল অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশঙ্কা তাদের।

জামালপুর সড়ক ও জনপথ কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের মার্চ মাসে বালিজুড়ী পশ্চিম পাড়া খলিলের মোড় থেকে জামথল পর্যন্ত ১৭০ মিটার সড়ক সংস্কারের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই সংস্কার কাজের মধ্যে ছিল মাটি কাটা, সলিং, এইচবিবি, কার্পেটিং ও পেলাসাইটিং। কাজ পায় মেসার্স মল্লিক ইন্টার ট্রেড।

বালিজুড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকার নক্কু মিয়া বলেন, তিন দিন আগে এই সড়কের সংস্কারকাজ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গর্ত হয়ে গেছে। এতে কাজের মান কেমন হয়েছে বুঝতেই পারছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, তদারকি উপসহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে এই সংস্কারকাজে নিম্নমানের পাথর ও বিটুমিন দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। এতে অনেক স্থানে বিটুমিন কম দিয়ে পোড়া মবিল বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে সড়ক কার্পেটিংয়ের সপ্তাহ না ঘুরতেই বেশিরভাগ স্থানে গর্ত হয়ে গেছে। 

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন মেসার্স মল্লিক ইন্টার ট্রেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার শিপলু। 

তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে কার্পেটিং উঠে গেছে। এই কারণে নতুন করে আবারও ওইসব স্থানে সংস্কার কাজ করে দিতে হচ্ছে। এ জন্য তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। তবে কাজের গুণগত মান নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকলে খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সংস্কার কাজের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী রুবেল মিয়া। তার দাবি, সড়ক কার্পেটিংয়ের দিন বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে, ওইসব স্থানে সংস্কার করে দেবেন তারা। 

জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, ঘটনাটি তাদের নজরে আসায় তদন্ত চলছে। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজের বিল এখনও ছাড় দেওয়া হয়নি।