- সারাদেশ
- বেলকুচিতে প্যানেল মেয়রকে পেটাল এমপির সমর্থকরা
বেলকুচিতে প্যানেল মেয়রকে পেটাল এমপির সমর্থকরা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-এনায়েতপুর সড়কে লাগানো হয়েছিল আওয়ামী লীগের ৯টি তোরণ। স্থানীয় সংসদ সদস্যের (এমপি) ছবি সংবলিত ওইসব তোরণ পথচারী-চালকদের দৃষ্টিভ্রম হলেও দীর্ঘদিন সরানো হচ্ছিল না। তোরণ সরিয়ে নিতে পৌরসভা থেকে এমপি মোমিন মণ্ডলকে সম্প্রতি নোটিশ দেন মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা। পৌরসভার নোটিশ দেওয়া নিয়ে এমপি মোমিন মণ্ডল ও মেয়র রেজার মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে এমপির সমর্থকরা গত মঙ্গলবার রাতে বেলকুচির প্যানেল মেয়র মাহবুবুল আজাদ তারেককে বেধড়ক পিটিয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময় বেলকুচি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকন্দ, তাঁর সহধর্মিণী রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বেগম সোনিয়া সবুর আকন্দ, বেলকুচি কলেজ শাখার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদ-বিন-রশিদ তুহিন, সোহাগ, মাহিদুলসহ মেয়রের ১০ সমর্থককে পিটিয়েছিল এমপির সমর্থকরা। ওইসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছিল।
মঙ্গলবার রাতে বেলকুচির সুবর্ণসাড়া স্কুল মাঠে তারেককে রড দিয়ে পেটানো হয়। তাঁকে প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল, পরে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মেয়র রেজা বলেন, ‘বেলকুচি-এনায়েতপুর সড়কে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম রেজার নেতৃত্বে ৯টি তোরণ নির্মাণ করা হয়। এমপির ছবি দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামোতে নির্মিত তোরণগুলো অপসারণে এমপিকে বলা হয়। এ ব্যাপারে সম্প্রতি এমপিকে নোটিশ দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এর জেরে সুবর্ণসাড়ার কাউন্সিলরপুত্র শাহাদত হোসেন মুন্না, সহোদর সবুজ, তাঁদের সহযোগী ইয়াসিন, রানা, তালেব, রিজনসহ এমপির সমর্থকরা পরপর বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। সব শেষে মঙ্গলবার রাতে প্যানেল মেয়র তারেককে পেটায় তারা। বেলকুচি থানা পুলিশ জেনেও ভূমিকা নিচ্ছে না। এমপির ইশারায় পুলিশ উল্টো আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’
এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম রেজা বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন বার্তা এবং এমপির ছবি দিয়ে তাঁর সমর্থকরা সওজের মৌখিক অনুমতি নিয়েই তোরণগুলো নির্মাণ করেছিল। অথচ এমপিকে অভিযুক্ত করে তা অপসারণের নোটিশ দেওয়াটা মেয়র রেজার বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়।’
এমপি মোমিন মণ্ডল বলেন, ‘তোরণে আমার সমর্থকরাই আমার ছবি সংযুক্ত করেছেন। তোরণ লাগাতে আমি কাউকে অনুমতি দেইনি। সওজের জায়গা, প্রয়োজন পড়লে তারা সেসব অপসারণ করবে। মেয়রের বাড়াবাড়ির উদ্দেশ্য কী।’
এদিকে, উপজেলা স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের আয়োজনে বেলকুচি প্রেস ক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এমপি মোমিন মণ্ডলের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বন্ধ ও চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ‘বেলকুচিতে এমপির সঙ্গে নিজ দলের নেতাদের কোন্দল নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও বিব্রত।’
মন্তব্য করুন