গুগলের দেওয়া তথ্যে শিশু-কিশোরীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ইনজামুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নিপীড়নের শিকার বহু শিশুর নগ্ন ছবি, ভিডিও ও শিশু পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট পাওয়া গেছে। 

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।

সিআইডির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) শিশু যৌন নিপীড়ন বন্ধ, শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মূলসহ শিশুদের অধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধন করা এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট তাদের নেটওয়ার্কে শিশুবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানায়। ২০২১ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয় সিআইডি। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে শিশু যৌন নিপীড়নকারীকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে সংস্থাটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্ত ইনজামুল ২০১৯ সালে প্রথম তার এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। পরে আবারও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় তার শিশুসন্তান দেখে ফেলে। পরে ওই শিশুকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার ওপরেও যৌন নিপীড়ন চালান তিনি। সেই সঙ্গে শিশুটির নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে নিজের ফোনে রাখেন। পরে তার বান্ধবীকেও একইভাবে নিপীড়ন করে ভিডিও করে রাখেন। সেসব কনটেন্ট (ছবি–ভিডিও) মোবাইল ফোনের স্টোরেজ ও গুগল ড্রাইভে রেখে দেন ইনজামুল।

এতে আরও বলা হয়, নিকটাত্মীয় ছাড়াও গ্রামের শিশু-কিশোরী ও প্রাপ্তবয়স্ক তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন এই যুবক। তার নিপীড়নের শিকার অনেক শিশুর নগ্ন ছবি, ভিডিও ও শিশু পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুরের ১০ বছরের কম বয়সী একাধিক শিশু তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ইনজামুলের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে সিআইডি।