- সারাদেশ
- দু’দিন পর মারা গেলেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চি
দু’দিন পর মারা গেলেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চি

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার শ্যামলী এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে রূপগঞ্জের বরপা এলাকার প্রিন্স রেস্তোরাঁয় কর্মরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
চিকিৎসকদের বরাতে বিল্লালের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
নিহত বিল্লাল বরিশালের মুলাদী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আকিজুদ্দি হাওলাদারের ছেলে। স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে তিনি রূপগঞ্জের আইরাবো এলাকার থাকতেন।
বিল্লালের মামা শহিদুল ইসলামও পেশায় বাবুর্চি। তিনি বলেন, সংঘর্ষের সময় বিল্লালের পেটে গুলি লাগে। সেদিনই তাকে ঢামেকে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হলেও তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। চিকিৎসকরা তাঁকে আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে শ্যামলীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
প্রিন্স রেস্তোরাঁর মালিক মো. নাদিম সাউদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে কাজ করছিলেন বিল্লাল। এ সময় রাস্তার পাশে এক ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ঘষা লাগে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা মাইক্রোবাসের লোকজনকে ধাওয়া করেন। তারা প্রাণে বাঁচতে রেস্তোরাঁর বাবুর্চিখানায় ঢুকে পড়েন। তাঁদের পিছু নিয়ে হামলাকারীরাও সেখানে ঢুকে গুলি চালায়। এ সময় একটি গুলি বিল্লালের পেটে লাগে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে বিল্লালের স্ত্রী সাজেদা বেগম রূপগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা ফারুক সাউদ, সিফাত, সোহান মীর, রিফাত, টেগরা শামীম, শাওনসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে।
মন্তব্য করুন