সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এ নিয়ে সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ২৭৯ জনে পৌঁছাল।

নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রার্থীরা হলেন– ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলম হোসেন আলম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন আহমদ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তপু গণি, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাজুয়ান আহমদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তারেক আহমদ, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আতাউর রহমান, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুছ ছবুর চৌধুরী, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল কবির চৌধুরী, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহীন আহমদ ও আল আমিন এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বদরুল ইসলাম।

এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে কাজ করতে দেশে ফিরছেন প্রবাসী নেতারা। ইতোমধ্যে কয়েকজন দেশে ফিরে প্রচারণা শুরু করেছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিলেট পৌঁছায়। ওসমানী বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

আনোয়ারুজ্জামানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দাবি, দুই শতাধিক প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আরও প্রবাসী দেশে ফিরবেন।

বৃহস্পতিবার দেশে ফেরা প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন– যুবলীগ যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু, তার সহধর্মিণী সালেহা ইসলাম, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহসভাপতি সাবুল আহমদ, মাহবুব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারজন খান, হাফিজুর রহমান সেলিম, লন্ডন মহানগর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবায়ের সিদ্দিকী সেলিম, যুবলীগ নেতা মুতছির চৌধুরী জনি প্রমুখ।

এদিকে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে মহানগর তাঁতী লীগের সহসভাপতি আজহারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হাসান স্বাক্ষরিত এ নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে সংগঠনের দপ্তরে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

আজহারুল ইসলাম জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামের ছেলে। তাঁর ফেসবুক আইডিতে নৌকার আনোয়ারুজ্জামানের বিপক্ষে প্রচারণা করায় নোটিশটি দেওয়া হয়।

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, ২৭৯ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৯২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।