ভোলার চরফ্যাসনের শশীভূষণে দুটি গরু জবাই করে চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি ফেলে মাংস নিয়ে গেছে চোরচক্র। বৃহস্পতিবার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কৃষক আবুল কালাম শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আবুল কালাম জানান, বুধবার শশীভূষণ বাজার থেকে বাড়ি ফিরে গোয়াল ঘরে যান। সব ঠিকঠাক থাকায় খাবার দিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে যান। এ সময় দেখেন তাঁর গরুটি গোয়াল ঘরে নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারেন, বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে মাঠে দুটি গরুর চামড়া ও ভুঁড়ি পড়ে আছে।

সেখানে গিয়ে চামড়ার রং ও রশি দেখে গরুটি তাঁর বলে নিশ্চিত হন আবুল কালাম। অদূরে পড়ে ছিল প্রবাসী আবদুল মন্নানের গরুর চামড়া ও ভুঁড়ি। তাঁর স্ত্রী কুলসুম এসে গরুটি তাঁদের বলে শনাক্ত করেন। তাঁরা জানান, দুটি গরুর বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানান, চোরচক্র রাতে কৃষকের গরু চুরির পর জবাই করে মাংস নিয়ে যায়। মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও এক জোড়া জুতা ফেলে রেখে গেছে চোরেরা। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে চোরচক্রের আঁতাত রয়েছে। জীবন্ত গরু নিয়ে ধরা পড়ার ভয়ে জবাই করে বস্তা ভরে মাংস নিয়ে কসাইদের কাছে বিক্রি করেছে তারা।

এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।