ঝিনাইদহের হীরাডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

আহতদের মধ্যে হাসানুজ্জামান, হায়দার আলী, আব্দুল গফুর, আনসার মোল্লা ও খয়বার মণ্ডলকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সদর থানা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল রাজা ও সদর থানা আওয়ামী লীগ সদস্য ফিরোজ বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শুক্রবার উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে শনিবার উভয়পক্ষের সমর্থকরা হীরাডাঙ্গা গ্রামে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত আট জন আহত হয়। পরে তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা সমকালকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। কয়েকজন আহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কতগুলো বাড়ি তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি, থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাহিয়া মেহনাজ জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ও লাঠির আঘাত আছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সদর থানা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল রাজা বলেন, ‘ফিরোজ যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো সদস্য না। সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে এলাকায় গরু লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। তারই জেরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এলাকায় সকলের সমর্থকই থাকে। আমার সমর্থকও ছিল।’

এ বিষয়ে ফিরোজ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।