সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, তত জমে উঠছে প্রচারণা। ইতিমধ্যে পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে নগরী। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড  রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

সোমবার প্রচণ্ড রোদে আলোচনায় থাকা তিন মেয়র প্রার্থীকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। ঘামে অনেকের শরীর ভিজে গেছে। আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায়, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম শিবগঞ্জে ও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসানকে রায়নগর এলাকায় গণসংযোগ ও সভা করতে দেখা গেছে।

প্রচারণাকালে এসব মেয়রপ্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। কথা বলছেন টেকসই উন্নয়ন নিয়ে, আবার কেউ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন দুর্নীতিমুক্ত নগর ভবনের।

এদিন দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার বিভিন্ন মার্কেটে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান জানান, মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করবেন। প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাবেন নগরীর। এসময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ছাড়াও বিজিত চৌধুরী, সুজাত আলী রফিক, মোহাম্মদ আলী দুলাল, যুবলীগের লীগের আলম খান মুক্তি, ছাত্রলীগের কিশোয়ার জাহান সৌরভ, রাহেল সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেলে নৌকার পক্ষে উপশহরে মাঠে নামেন প্রবাসীরা।

শিবগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম - সমকাল

দুপুরে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল শিবগঞ্জ বাজারে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দাবি করেন, সু্ষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙ্গলের বিজয় কেউ রুখতে পারবেনা। গণসংযোগকালে দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান মুনিম চৌধুরী বাবু উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান রায়নগর এলাকায় মতবিনিময় সভা ও জিন্দাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম। প্রচারণাকালে হাসান বলেন, আমি সিলেটের উন্নয়নে কাজ করবো। তবে তিনি প্রথমে দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে কোনো দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানান।