- সারাদেশ
- বিউটিশিয়ানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে ছিল মেঝেতে
বিউটিশিয়ানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে ছিল মেঝেতে

মৃদুল ঘোষ নামে এক তরুণকে ভালোবেসে সংসার শুরু করেছিলেন রুবিনা আক্তার। পরিবার ও সমাজের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বছর দেড়েক আগে তিনি হিন্দু ধর্মের মৃদুলকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় কলহ। এক পর্যায়ে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
গাজীপুর মহানগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদাবই এলাকার আবদুস সালামের মেয়ে রুবিনা আক্তার এরপর পার্লার ব্যবসা শুরু করেন। পার্লারের পেছনের একটি রুমেই থাকতেন। রোববার রাতে তার মা আসিয়া আক্তার মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে ওই রুমে গিয়ে দেখেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রুবিনার নিথর দেহ পড়ে আছে মেঝেতে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, রুবিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর ঘাতকরা লাশ ঘরের ভেতর রেখে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বাড়িয়া ইউনিয়নের খুদেবরমী গ্রামের নিতাই ঘোষের ছেলে মৃদুল ঘোষ পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় রাকিবুল হাসান ও সোমা রানী ঘোষ নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওসি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আটকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সোমবার তাদের দু’জনেরই দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পারিবারিক সূত্র বলছে, রুবিনার এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। আগের সংসারে পাঁচ বছরের একটি কন্যা রয়েছে। সোমবার নিহতের মা আসিয়া আক্তার একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক মৃদুল ঘোষকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে জানান তিনি।
/এইচকে/
মন্তব্য করুন