প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা বোঝাতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় প্লাস্টিকের তৈরি ভাস্কর্য ‘দানব’ উন্মোচন করা হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌরসভা চত্বরে এমন কয়েকটি ভাস্কর্য তৈরি করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটম। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রোসাটমের দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার ভাস্কর্যগুলো উন্মোচন করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, এসব ভাস্কর্য দানবের পাশে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে লেখা, ‘মেছো ভূত মাছ চায়, না পেয়ে প্লাস্টিক খায়’।

এর আগে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সহায়তায় ব্যাপক জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয় রোসাটম। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের রজতজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার শিক্ষার্থীদের দ্বারা ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া মোড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, দাশুড়িয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কয়েকশ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণে শিক্ষামূলক কর্মসূচি, ঈশ্বরদী পৌরসভা প্রাঙ্গণে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়।

প্রকল্প সূত্র জানায়, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আজ রূপপুর মোড়ে বিশেষ রোড শো হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে জনগণকে প্লাস্টিক দূষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হবে। শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক রিসাইকেলের বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদানের জন্য বুধবার তাঁদের নিয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেডে আদনান পিএসএফ ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা পরিদর্শন করা হবে। 

রোসাটমের প্রকৌশল শাখা রূপপুর প্রকল্পের ডিজাইনার এবং জেনারেল কন্ট্রাক্টর এতমোস্ত্রয় এক্সপোর্ট জানায়, এসব কর্মসূচির অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য, পারমাণবিক শক্তির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা। বর্তমান বিশ্বে লো-কার্বন এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের উৎস হিসেবে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা থেকে একদিকে যেমন সুরক্ষা দিচ্ছে, অন্যদিকে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে তাৎপর্যপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে।