- সারাদেশ
- প্রতিশোধ নিতে ইমনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আল-আমিন
স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক
প্রতিশোধ নিতে ইমনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আল-আমিন

প্রতীকী ছবি
একই এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর সুবাদে আল-আমিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল ইমন কাজীর (১৭)। এই সুবাদে আল-আমিনের বাসায় যাওয়া-আসা করত ইমন। এক পর্যায়ে আল-আমিনের স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে ইমন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিশোধের নেশা চেপে বসে আল-আমিনের। পরিকল্পিতভবে সে ইমনকে হত্যা করে। গত রোববার বরিশালের হিজলা থানাধীন গোবিন্দপুর খন্না এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে আল-আমিনকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।
গত ৩ মে রাজধানীর কদমতলীর পশ্চিম মোহাম্মদবাগ এলাকায় হাজি সোনা মিয়ার জমি থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতের বাবা মো. লিটন ওই লাশ ইমনের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় মামলা করেন তিনি। তবে মামলার এজাহারে আসামি ছিল অজ্ঞাত।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে ইমনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেয় আল-আমিন। পরে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। গত ৩ মে ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইমনকে নিজের বাসায় ডেকে নেয় আল-আমিন। বাসায় আসার আগে তারা নিচে দেখা করে। এ সময় ইমনের জন্য আল-আমিন কোকা-কোলা ও সিগারেট কেনে। বাসায় রাখা ছিল ঘুমের ওষুধ। বাসায় এসে কৌশলে কোকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আল-আমিন ইমনকে খাওয়ায়। পরে পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে আল-আমিন ধাক্কা দিলে দেয়ালে আঘাত লেগে ইমন অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ইমনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
হত্যার পর ইমনের অটোরিকশা আল-আমিন গেণ্ডারিয়া গঙ্গা শাহ মাজারের সামনে ফেলে যায়। এর পর আসামি তার রিকশা গ্যারেজে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। পরদিন সকালে বস্তা নিয়ে বাসায় গিয়ে ইমনের মৃতদেহ হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে সন্ধ্যার পর কদমতলী হেনোলাক্স গলি থেকে ডোবায় ফেলে দিয়ে বরিশাল শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিল আল-আমিন।
মন্তব্য করুন