গাজীপুরের গাছায় শরিফ হোসেন রিফাত (২০) নামে এক নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে গাছা থানাধীন পলাশোনা এলাকার শেষ মাথায় তুরাগ নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত রিফাত এরশাদ নগর ২ নম্বর ব্লকের ফারুক মিয়ার ছেলে। নিহত যুবক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’ চালক ছিলেন।

রিফাতের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, ধারদেনা করে রিফাতকে বছর খানিক আগে একটা মোটারসাইকেল কিনে দেন তিনি। রিফাত মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাতেন। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় টঙ্গীর এরশাদ নগরের কাজল ও সোহাগ মোটরসাইকেলসহ রিফাতকে নিয়ে যান। রাতে কাজল ও সোহাগ বাসায় এলেও রিফাত বাসায় ফেরেননি। মঙ্গলবার দিনভর খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রিফাতের মোটরসাইকেলে লাগানো জিপিআরএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় মোটরসাইকেলটি আছে বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, পলাশোনা এলাকায় লোক পাঠিয়ে মোটরসাইকেল পাওয়া যায় কিন্তু রিফাতকে পাওয়া যায়নি। কাজল ও সোহাগ তার ছেলে রিফাতকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি।

টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই সাব্বির হোসেন বলেন, নিখোঁজ রিফাতের পরিবারের লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে গাছা থানার পুলিশের সহযোগিতায় পলাশোনা এলাকায় রিফাতকে খোঁজা হয়। তার মোটরসাইকেল ওখানেই পাওয়া গেছে।

গাছা থানার ওসি ইব্রাহীম হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পর গাছা থানার পুলিশ খোঁজাখুজি করে। পরে ফায়ায় বিগ্রেডের লোকজনের সহযোগিতায় বিকেলে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নৌ পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি জানার পর তারাও আসে। নিহত রিফাতের পরিবারের লোকজন তার পরিচয় শনাক্ত করেন। নৌ পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।