- সারাদেশ
- রোড মার্চ অভ্যুত্থানের পথ তৈরি করছে
গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে নেতারা
রোড মার্চ অভ্যুত্থানের পথ তৈরি করছে

ছবি: সমকাল
ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে চলমান রোড মার্চ সরকার পরিবর্তনে অভ্যুত্থানের পথ তৈরি করছে বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে সরকার এখন বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার সেন্ট্রাল হাই স্কুল মাঠে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা। পরে রোড মার্চ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছে আরেকটি সমাবেশ করে।
বগুড়া শহরে গণতন্ত্র মঞ্চের পূর্বনির্ধারিত দুই স্থানের কোনোটিতেই সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে শহরের সেন্ট্রাল হাই স্কুল মাঠে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) বগুড়ার সভাপতি মনিরুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের দিন শেষ হয়ে আসছে। এ জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকরা অসংলগ্ন আচরণ করছেন।’ তিনি রোড মার্চের বহরে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার উন্নয়নের কথা বলে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের উন্নয়ন হয়নি, হয়েছে স্বজনদের। এখন বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়ন করতে চাচ্ছে। দেশকে আরও সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।’ গণতন্ত্র মঞ্চের এ রোড মার্চ আরেকটি অভ্যুত্থানের পথ তৈরি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার ভিসা নীতিতে সব সমীকরণ বদলে গেছে। গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এবার পদত্যাগে বাধ্য করব।’
সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে, ক্লাস চলাকালে বগুড়ার সেন্ট্রাল হাই স্কুল মাঠে সমাবেশ করা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার বলেন, ‘ক্লাস চলছিল কিনা জানা নেই। আমরা শহরের সাতমাথায় সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। শহীদ খোকন পার্কে করতে গেলে যুবলীগ বাধা দেয়। পরে পুলিশ সেন্ট্রাল হাই স্কুল মাঠেই সুযোগ দেয়। বলা যায়, সেখানে সমাবেশ করতে পুলিশ বাধ্য করেছে।’
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ নিজেদের পছন্দের স্থানে জনসমাবেশ করেছে। তাদের বাধা বা পরামর্শ কিছুই দেওয়া হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই।
বগুড়া সেন্ট্রাল হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুস জামান জানান, সমাবেশে লোকজন আসতে থাকায় বিকেল ৪টার পরিবর্তে দুপুর ১টার দিকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শিক্ষাদানে ব্যাঘাত কাম্য নয়।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ‘দুদিন আগেই শহীদ খোকন পার্কে শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিলাম। না পাওয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছি।’
বগুড়া থেকে রোড মার্চ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌঁছে কাটা মোড়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম করছে। বিরোধী মত দমনে নীল নকশা করছে। এ জন্য তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করে গণতন্ত্র মঞ্চ গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক ফিরোজ মাহমুদ।
মন্তব্য করুন