মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সড়কে থাকা অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। অন্যদিকে, অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বলের কর্মীরা সদ্য সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলের এক কর্মীকে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সাবেলের কর্মীরা মিছিল বের করলে ইকবালের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ছয় থেকে সাতজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় নিউমার্কেটের সামনে স্ট্যান্ডে থাকা অটোরিকশা ভাঙচুর করে উভয় পক্ষ। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। 

নিউমার্কেট সিএনজি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার সুমন বলেন, তারা (ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা) মারামারি করার পর আমাদের স্ট্যান্ডের আটটির মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এ সময় বলরাম নামে এক চালককে অনেক মারধর করা হয়।

জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জুড়ী কলেজ থেকে নেমে আসার পথে হুমায়ূন রশীদের (সাবেল গ্রুপ) নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর তারা অটোরিকশা ভাঙচুর করে।

উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন রশীদ বলেন, ইকবালের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। মঙ্গলবার রাতেও তার কর্মীরা আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে।

এ বিষয়ে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরএডি/