দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যা এ বছর এক দিনের সর্বোচ্চ। জুনের শুরু থেকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এর আগে মঙ্গলবার ৯৬ জন, সোমবার ১০১ জন, রোববার ৯৭ জন, শনিবার ১৪১ জন, শুক্রবার চারজন এবং বৃহস্পতিবার ১১২ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ঢাকা ও বরিশালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ বছর সব মিলিয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে। এদের মধ্যে ছয়জন মারা গেলেন গত সাতদিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্ত ১৪৭ জনের মধ্যে ১২৭ জন ঢাকার। বাকি ২০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ বছর সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ৭২০ জনে। তাদের ৭৯৮ জনই জুন মাসের প্রথম সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছেন। মে মাসে ১০৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ বছর যে দুই হাজার ৭২০ জন দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে এক হাজার ৯৯৭ জন ঢাকায় এবং ৭২৩ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হন। যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চারজন মারা গেছেন। বুধবার দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৮০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪১১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৬৯ জন। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে ১০৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এ বছর।

এইডস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের। বর্ষার আগেই বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেশি হওয়ায় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।