বিএসএমএমইউ উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনের ৮ মাস পরও এখনও পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে না পারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নামে বিশ্ববিদ্যালয়টি আমাদের কাছে অনেক আবেগ-অনুভূতির বিষয়। এখানকার যে কোনো কিছুতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়োগ কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগ আমাদের কানে এসেছে। আমরা এগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখব।’

জাহিদ মালেক বলেন, বিএসএমএমইউতে কোনো অনিয়ম আমরা হতে দিতে পারি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তারা নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। কিন্তু হাসপাতালটিতে সরকার অর্থায়ন করে থাকে। সে হিসেবে আমরা অবশ্যই অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। হাসপাতালটিতে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা পেতে যেন ব্যাহত না হয়, আমরা সেটাই চাই।

তিনি আরও বলেন, বিএসএমএমইউর অন্তর্ভুক্ত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ খরচ করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও নিয়োগ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। বড় একটি নিয়োগ কিন্তু সামনে আছে। তবে সেই নিয়োগের কমিটিতে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদকে রাখা হয়নি। একটি শক্তিশালী কমিটি করেই সেই নিয়োগ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হবে।

ক্যান্সার হাসপাতালে দুরবস্থার পেছনে মন্ত্রী হিসেবে আপনার ব্যর্থতা আছে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার হাসপাতালে সমস্যা এক দিনে হয়নি। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। এরপর নানা সময়ে জটিলতা ছিল। করোনার কারণেও যন্ত্র কেনাকাটায় সমস্যা হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। শিগগির সমাধান হবে।