খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। ভোটাররা বুঝতে পারছেন কে নির্বাচিত হবেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে উৎসব নেই, আছে উৎকণ্ঠা। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এ নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কেসিসি নির্বাচন নিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সুজন নেতারা। প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, কেসিসি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রায় ২৮ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ৬৮ দশমিক ৭২ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী। এ ছাড়া ১৯ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা চলছে।

এতে আরও জানানো হয়, নির্বাচনে তিনটি পদে ১৭৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪২ দশমিক ৪৬ শতাংশের সম্পদ ৫ লাখ টাকার কম। ২০১৮ সালে এমন প্রার্থী ছিলেন ৭৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া আগের নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর হার ১ দশমিক ০৪ শতাংশ হলেও এবার তা ৯.৫ শতাংশ।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। কেসিসি নির্বাচন প্রথম হওয়ায় অনিয়মের শুরু হয় এখানেই। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে একই ধরনের অনিয়ম হওয়ায় তা ‘খুলনা মডেল’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, সেই  পরিস্থিতি আর প্রত্যক্ষ করতে চায় না সুজন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইসি, সরকার, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুজনের জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম। বক্তব্য দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার, বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু, জেলা সম্পাদক কুদরত ই খুদা, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রমা রহমান প্রমুখ।