- সারাদেশ
- বাবাকে মারধর, ছেলের বিচার চাইলেন মা
বাবাকে মারধর, ছেলের বিচার চাইলেন মা

কালাই প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয় - সমকাল
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কাশিপুরহাল গ্রামে তিন ছেলের মধ্যে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বাবাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে একরামুল হকের বিরুদ্ধে। ছেলের মারধরে আহত হয়ে বৃদ্ধ বাবা এখন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালাই প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আহত বৃদ্ধের স্ত্রী ও তিন ছেলের মা জাহানারা বিবি ছেলে একরামুল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আহত বৃদ্ধ ওসমান গণির ছোট ভাই সাহেব আলী, তার দুই ছেলে রুহুল আমিন ও মুমিনুর রহমান, মেয়ে গুলনাহার ও ছেলের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মা জাহানার বড় ছেলে রুহুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একরামুল হক সৌদি আরবে ছিলেন। ২০০০ সালে বাবা ওসমান গণি ৯৮ শতক জমি সমান ভাগে দলিলমূলে আমাদের তিন ভাইয়ের নামে লিখে দেন। প্রবাসে থাকাকালে এই খবর একরামুল পান।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল অভিযুক্ত একরামুল সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে তিনি বাবা ওসমান গণি কেন তার সম্পত্তি আমাদের তিন ভাইকে সমান ভাগে দলিল করে দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এ নিয়ে বাবা ও মায়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। কিছুদিন আগে গ্রামে এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
রুহুল আমিন বলেন, গত ৭ জুন দুপুরে বাবা কালাই সাব-রেজিস্টার অফিসে যান। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে একরামুল তার শ্বশুরবাড়ির ৪-৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে বাবাকে মারধর করেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন বাবাকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এরপর থেকেই একরামুলের ভয়ে মা জাহানারা অন্যের বাড়িতে লুকিয়ে থাকেন। আজ সকালে মাসহ সবাইকে নিয়ে গোপনে হাসপাতালে যাই। সংবাদ সম্মেলনস্থলে আসার পথে একরামুলসহ তার লোকজন বাধা দেন। পরে কালাই থানায় একরামুলসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
তিনি বলেন,একরামুলের এমন নির্যাতনে বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই ভাই ও মা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন। এমন ছেলের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা লাভে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধার ছেলে একরামুল হক সমকালকে বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। আমাদের মাঝে কি ঘটেছে- তা নিয়ে কোনো আলাপ নেই। আপনাদের যা বলেছে, তা লিখতে পারেন। আমার কিছুই বলার নেই।
বিষয়টি নিয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন