- সারাদেশ
- পরীক্ষায় অন্যের খাতা দেখতে না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর
পরীক্ষায় অন্যের খাতা দেখতে না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

লোহাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রীর স্বজনের বিরুদ্ধ। ওই শিক্ষক বর্তমানে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়িকের নবম শ্রেণির গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম অভিযোগ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়া অপ্সরা পেছনের বেঞ্চে বসা অন্য এক ছাত্রীর খাতা দেখে লিখছিল। তিনি ছাত্রীকে মা সম্বোধন করে খাতা দেখতে মানা করেন। এক পর্যায়ে যে ছাত্রীর খাতা দেখছিল তাকে অন্য বেঞ্চে সরিয়ে দেন। এর বাইরে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শিক্ষক সাইফুল অভিযোগ করেন, দুপুর ২টার পর ওই মেয়ের বাবা আবু সুফিয়ান শেখ, মামা লিখন মোল্যা ও দাদা আয়েন উদ্দিন স্কুলে এসে অভিযোগ করেন, ‘আমি নাকি উল্টাপাল্টা কথা বলেছি’। এ কথা বলে গালাগাল করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানও মারধর করা হয়। এটা অত্যন্ত লজ্জার। এ ঘটনার সঙ্গে প্রাইভেট পড়ানো বা অন্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, এখানে শিক্ষকের দোষ ছিল না। দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবাসহ কয়েক অভিভাবক স্কুলে এলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি খান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় শনিবার স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন। শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
ছাত্রীর দাদা আয়েন উদ্দিন দাবি করেন, শ্রেয়া অপ্সরা ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় বিভিন্ন সময় বিরূপ মন্তব্য ও খারাপ আচরণ করতেন। অঙ্ক (গণিত) পরীক্ষার দিনও পরীক্ষা নিয়ে ওই শিক্ষক মন্তব্য করেন। এসব ঘটনায় পরীক্ষার পর বাড়িতে গিয়ে কেঁদে ফেলে শ্রেয়া অপ্সরা। পরে আবেগের বশে বিদ্যালয়ে এসে তাকে (শিক্ষক) দুটি চড় মারা হয়েছে।
মন্তব্য করুন