বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ বা ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ উদ্ধৃতি উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। ব্রিটিশ হেজিমনির আলোকে সেটির বিস্তারিত বর্ণনা করতে বলা হয় প্রশ্নে। সেই প্রশ্নপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসার পর এর পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নেটিজেনদের পক্ষ থেকেও সমালোচনাই বেশি। ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের নির্দিষ্ট শিক্ষক নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকের সংখ্যাও কম। এ জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হলেও মেহেদী হাসান বাংলাদেশ স্টাডিজের ক্লাস নেন। সংশ্লিষ্ট বিষয় হওয়ায় তিনি মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নটি করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ হেজিমনির আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করতেই ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ উল্লেখ করে একটি প্রশ্ন করা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, হেজিমনি বোঝানোর জন্য সিনেমার এ ডায়ালগ বেছে নেওয়া সংগত নয়। শব্দগুলো সাধারণত নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেয়। অন্য উদাহরণের মাধ্যমেও বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত। এ ছাড়াও প্রশ্নপত্রে বাংলা ভাষা ইংরেজি শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক, সেটিও বিবেচনার বিষয়।

অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলছেন, প্রসঙ্গ না বুঝেই অনেকে যে যার জায়গা থেকে প্রশ্নটি নিয়ে সমালোচনা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি নৈতিকতা শিক্ষায় অবদান না রেখে অশ্লীলতা ছড়ান, এমন অপ্রীতিকর ভাবধারার প্রশ্ন করেন, সেটা জাতিকে পথভ্রষ্ট করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।