বরিশালের রাজনীতিতে ফের সক্রিয় এসপি মাহবুব
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এক সময় গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। ১৯৯১ ও ’৯৬ সালে মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন তিনি। মধ্যে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীও হয়েছিলেন। বিএনপির দুর্গখ্যাত এ আসনটিতে তিনবারই হেরে যান তিনি।
আবারও তিনি বরিশালের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ‘এসপি মাহবুব’ নামে বেশি পরিচিত। বরিশাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নানা সমীকরণের ফলে কয়েক বছর তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দৃশ্যত তিনটি নির্বাচনে পরাজয় ও স্থানীয় গ্রুপিংয়ের কারণে তিনি অন্তরালে চলে যান।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসপি মাহবুব গত বছরের মাঝামাঝি থেকে নিয়মিত বরিশালে যাতায়াত করছেন। সামাজিক নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। গত কয়েক মাস ধরে তিনি নগরকেন্দ্রিক দলীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল আওয়ামী লীগে নতুন মেরূকরণে গুরুত্ব বেড়েছে তাঁর।
গত সোমবার মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়ও মঞ্চে ছিলেন তিনি। এ আসনের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং বর্তমান এমপি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, তাঁর ঘনিষ্ঠজন নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের ও তাদের অনুসারীরা বর্ধিত সভায় যাননি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদায়ী সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর আধিপত্য রয়েছে বর্তমান কমিটিতে। অনেকে মনে করছেন, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ও এসপি মাহবুবকে ঘিরে বরিশাল আওয়ামী লীগে আরেকটি বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল-৫ আসনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে এসপি মাহবুব বলেন, নাগরিক সমাজের লোকজন তাঁকে এ আসনে আবার প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছেন। তিনিও দলীয় সভাপতির কাছে মনোনয়ন চাইবেন।
মাহবুব উদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সময় এএসপি ছিলেন। ১৯৭১ সালে মেহেরপুরে মুজিবনগর সরকার শপথ নেওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকারকে প্রথম গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর তিনি ঢাকা জেলার এসপি ছিলেন। ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির পর তিনি চাকরিচ্যুত ও জেল-জুলুমের শিকার হন।