ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

কাজ শুরু না হতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

কাজ শুরু না হতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারের নির্ধারিত জায়গায় পড়ে আছে নির্মাণসামগ্রী সমকাল

এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

প্রকাশ: ২২ আগu ২০২৩ | ১৮:০০

সুন্দরগঞ্জে আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু না হতেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ঠিকাদারের খবর নেই। সংশ্লিষ্ট অন্যরাও বলতে পারছেন না, কাজ কবে শুরু হবে। এদিকে বরাদ্দ না থাকায় নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ঠিকাদার।

২০১৮ সালের ২২ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জে আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার নির্মাণের জন্য পরিষদের পশ্চিমপাশে স্থান নির্ধারণ করে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) বরাবর চিঠি দেন। সেই চিঠির আলোকে ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর ব্যানবেইসের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেন। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে ভবনের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের মে মাসে টিএআইএইচএএন কনসোর্টিয়ামকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ২০২৩ সালের মে মাস। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভবনের কাজ শুরুই হয়নি। এদিকে ভবনটি নির্মাণ না হওয়ায় পাঁচ বছর ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম পুরোনো উপজেলা পরিষদ ভবনের পরিত্যক্ত তিনটি কক্ষে পরিচালিত হয়ে আসছে।

সাব-ঠিকাদার লাজু মিয়া জানান, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান টিএআইএইচএএন কনসোর্টিয়ামকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। বরাদ্দের অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। শুধু দুটি পাইলিং নির্মাণ করা হয়েছে। ভবন নির্মাণ স্থানে সামান্য পাথর ও বালু পড়ে রয়েছে। তিন বছর ধরে একজন পাহারাদার সেখানে চালাঘর তুলে বসবাস করছেন।

ভবন নির্মাণকাজের উপসহকারী প্রকৌশলী ডিপটি মিয়া জানান, ২০২২ সালে কারণ ছাড়াই প্রকল্প পরিচালক ১৬০টি উপজেলায় ভবন নির্মাণকাজের জন্য নিয়োগকৃত উপসহকারী প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর ভবন নির্মাণকাজের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মণ্ডল জানান, ভবন নির্মাণসংক্রান্ত কোনো প্রকার নথিপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নেই। দীর্ঘদিনেও ভবন নির্মাণ না হওয়ায় অনেক শিক্ষক আইসিটি প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া ভবন না থাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

ব্যানবেইসের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও প্রকল্প পরিচালক মুহিবুর রহমান জানান, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নির্মাণসামগ্রীর বাজারদর নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলমান। উপসহকারী প্রকৌশলীদের অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান টিএআইএইচএএন কনসোর্টিয়ামকে জানে।

আরও পড়ুন