খেলায় হেরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, আহত ১২

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবল খেলায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে বিচারের আশ্বাসে ছাত্র-ছাত্রীরা তালা খুললেও ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করছে।  

রোববার বিকেলে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার বিকেলে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ধানয়া মাঠে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে দক্ষিণ সাধারচর উচ্চবিদ্যালয় ও সৈয়দনগর আতোয়ার রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। ম্যাচটি ড্র হয়। ট্রাইবেকারে সৈয়দনগর আতোয়ার রহমান উচ্চ বিদ্যালয় হেরে যায়।খেলায় হেরে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের উপর হামলা চালায় দক্ষিণ সাধারচর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর। এতে উভয় দলের ১২ জন আহত হয়। আহতরা হলো- সোলমান, ফারদিন, মাহমুদ, হৃদয়, মাহফুজ, ফাহাদ, নবম শ্রেণির ফুয়াদ ও আসাদুল। ফারদিন নামের এক শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যরা পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন। 

সৈয়দনগর আতোয়ার রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান হামলার কথা স্বীকার করে জানান, কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ সাধারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন জানান, হামলায় তার বিদ্যালয়ের ৮ ছাত্র আহত হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর। ছাত্র-ছাত্রীরা বিচারের দাবিতে সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়েছে। পরে আমাদের অনুরোধে তালা খুলে দিলেও ক্লাস বর্জন করে মাঠে অবস্থান করছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

শিবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলতাফ হোসেন জানান, ‘এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। ইউএনও স্যারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওই দুই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনিয়া জিন্নাত জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।