- সারাদেশ
- বাপ-বেটার ‘এমপি লীগ’
বাপ-বেটার ‘এমপি লীগ’

বাবা হাবিবর রহমান বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি)। আর ছেলে আসিফ ইকবাল সনি ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরিবারতন্ত্র তারা দু’জনই বোঝেন ভালো। অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ নয়ছয়ে কেউ কারও চেয়ে কম নন। এমপি হাবিব তিন মেয়াদে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর টিআর-কাবিখা খেয়েদেয়ে সারা। সম্পদ বেড়েছে অন্তত ৩০০ গুণ। ‘বাপ-বেটা’র কথা যেন ধুনটের আইন! নিজ দলের নেতাকর্মীর কেউ তাদের অপকর্মের কথা তুললেই পড়তে হয় সাজানো মামলার গ্যাঁড়াকলে। সরেজমিন এলাকা ঘুরে নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের চেয়ে তারা ‘এমপি লীগ’ বা ‘বাপ-বেটা লীগ’ হিসেবে এলাকায় বেশি পরিচিত। নিজেদের বড় দেখাতে দলকেই ছোট বানিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের প্রতাপে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীরাই এখন ঘরকুনো। অত্যাচার সইতে না পেরে বাধ্য হয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেকে। দলের নেতাকর্মী চক্ষুশূল হলেও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর জন্য রয়েছে গোপন প্রীতি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকাকে একাধিকবার ডোবাতেও বুক কাঁপেনি বাবা-ছেলের। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব ও ছেলে সনির নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ক্ষমতা মুঠোয় রাখতে এমপিবলয়
ধুনট আওয়ামী লীগের নির্বাচিত কমিটি থাকলেও নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোট করে বহিষ্কৃত পৌর মেয়র এ জি এম বাদশাহ, এম এ তারেক হেলাল, মোস্তাফিজুর রহমান মন্টুসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে মূল দলের বাইরে এমপি হাবিব গঠন করেন আলাদা কমিটি। ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি এমপির ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তাঁর ছেলে সনি সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটি ঘোষণা দেন। ধুনট আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম সোবাহানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক মহসিন আলমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এর পর থেকেই মূলত ধুনট আওয়ামী লীগ দুই টুকরো। শুরু থেকেই মূল দলের বাইরের অংশটি ‘বাপ-বেটা লীগ’ বা ‘এমপি লীগ’ নামে পরিচিতি পায়।
ধুনট আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক বলেন, দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার পরও এমপির দাপটে গত বছর ৪ অক্টোবরের সম্মেলনে তাঁর ছেলে সনিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। মূল দলে পদ পাওয়ার পরও তিনি নিজস্ব বলয় নিয়ে চলেন। সাধারণ নেতাকর্মী এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বলে দলে গতি নেই। এক বছরে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও হয়নি। তারা এমপির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র, অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ লুটপাট করার বিচার দাবিতে সোচ্চার।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, ধুনট ও শেরপুরের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা এ জন্য স্থানীয় এমপি হাবিবর রহমানকে দায়ী করেন। তারা এ-সংক্রান্ত অভিযোগ কেন্দ্রের কাছেও পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসলেও ফয়সালা হয়নি। বিষয়টি এখন স্থানীয়ভাবে সমাধান করার পরিস্থিতির মধ্যে নেই। তাই আমি বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে সেভাবেই উপস্থাপন করেছি।
পান থেকে চুন খসলেই মামলা
এমপি ও তাঁর ছেলের নামে আলোচনা-সমালোচনা করলেই সাজানো মামলায় ফেঁসে যাওয়াটা এখন নিয়ম। কয়েক বছরে এমন মামলার আসামি হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। এ তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকনও। এ দু’জনসহ ২৮ নেতাকর্মীকে ফাঁসানো হয় চুরির মামলায়। চেয়ারম্যান খোকন বলেন, আমার স্ত্রী ও ছেলের নামে রয়েছে আরও ১৬টি মামলা।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোজাফ্ফর রহমান বলেন, এমপির ছেলের অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে না থাকায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ আমাকে পেটানো হয়। পরে আমিসহ এলাঙ্গী ইউনিয়নের ২৭ নেতাকর্মীর নামে উল্টো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এলাঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান অসীমসহ সাত ছাত্রলীগ নেতার নামেও রয়েছে মামলা। এ ছাড়া এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেল মাহমুদসহ আরও পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে চুরির মামলা। আওয়ামী লীগ নেতা রিয়েল আহম্মেদ জান্নাত, সাবেক বন ও পরিবেশ সম্পাদক আরিফুর রহমানের ‘অপরাধ’ তারা প্রতিপক্ষ গ্রুপের সমর্থক। এ কারণে তারা দু’জনসহ যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান এখন হত্যা মামলার আসামি। চিকাশী ইউনিয়নের নেতারা এমপির ছেলের অনৈতিক কাজে সায় না দেওয়ায় দলে দলে মামলার আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন সভাপতি আলেফ বাদশার বিরুদ্ধে ১৮টি, যুগ্ম সম্পাদক ইউপি সদস্য মোকলেছার রহমানের বিরুদ্ধে তিনটি, সদস্য সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছয়টি, ওয়ার্ড সভাপতি শিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ১৮টি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ হাসানের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। এর বাইরেও অনেক নেতাকর্মী মামলার আসামি হয়েছেন।
নৌকাবিরোধী বাবা-ছেলে
২০১৫ সালে ধুনট পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলামকে। ওই নির্বাচনে এমপি হাবিব বিদ্রোহী প্রার্থী এ জি এম বাদশাহর জগ প্রতীকের পক্ষ নেন। এতে নৌকার ভরাডুবি হয়। ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিককে। এ সময়ও এমপি ও তাঁর ছেলের অনুসারীরা নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেন। ফলে নৌকাকে ডুবিয়ে জেতেন প্রতিপক্ষ এ জি এম বাদশাহ। একই বছর তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধুনটের ১০ ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করেন এমপির চিহ্নিত ব্যক্তিরা। ওই নির্বাচনে ছয় ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়। সে সময়ও নৌকার পরাজিত প্রার্থীরা এমপির বিরুদ্ধে দলের হাইকমান্ডের কাছে নালিশ জানান।
বিএনপি-জামায়াত প্রীতি
হাবিবর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হলেও দলীয় নেতাকর্মীর চেয়ে সুবিধা দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে। অভিযোগ আছে, বিএনপির নেতা আকতার আলম সেলিমকে জলাশয় ও বিল ইজারা নিয়ে দেওয়া হয়। ধুনট মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানো হয় জামায়াত নেতা জিয়াউর রহমানকে। শিবিরকর্মী ফারুক হোসেনকে ধুনট বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নেপথ্যে ছিলেন এমপি। ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেনকে গোশাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজে যথাক্রমে লাইব্রেরিয়ান ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। জোড়খালী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় শিবির নেতা একরামুল হক ও ধুনট সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে সহকারী শিক্ষক করা হয়।
এ ছাড়া ধুনট ও শেরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। ধুনট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন রিপন বলেন, এমপির ছেলের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় আমার চাকরি হয়নি। ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাত্রদলের কর্মী জাহিদুল ইসলাম চাকরিটি পান। পরে আমি খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আবেদন করে স্কুলের সভাপতি এমপির ছেলের অনুসারী গোলাম মর্তুজাকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিই। তবে ঘুষের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ায় ১৫ লাখ টাকায় ছাত্রদলের কর্মী মাহমুদুল হাসান মজনু চাকরিটি বাগিয়ে নেন।
গোপালনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু হাসেম, সহসভাপতি আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নিরাপত্তাকর্মীর পদে আবেদন করেছিলেন। জনপ্রতি ১৫ লাখ করে টাকা দিতে না পারায় তাদের চাকরি হয়নি।
গোপালনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী জুয়েল নৈশপ্রহরী পদে মেধা যাচাইয়ে প্রথম হন। চাকরি নিশ্চিত করতে এমপির পিএস কোরবান আলী মিলনকে তিন লাখ টাকা ঘুষ দেন। পরে অন্য একজন আরও বেশি টাকা দেওয়ায় চাকরিটা আর তিনি পাননি।
উন্নয়ন প্রকল্পে নয়ছয়
নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে এমপি ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিশেষ বরাদ্দের অনেক প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য সোহেল রানা বলেন, কাজের ব্যাপারে জানি না। এমপির ছেলের লোকজন আমার কাছ থেকে শুধু সই নিয়েছে। ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, অন্য একটি প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে আমিও শুধু কাগজপত্রে সই করেছি। গোশাইবাড়ী ইউনিয়নের দুই প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, লোক দেখানো অল্প কিছু কাজ করে বাকি টাকা এমপির ছেলের লোকজন ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এমপির বিশেষ বরাদ্দের টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের খাদ্যশস্য কেনাবেচা করতেন ধুনট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা। তাঁর স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে ৮০০ থেকে ৯০০ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ আসত। তিনি বেশির ভাগ খাদ্যশস্য কাগজে-কলমে নামসর্বস্ব ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তুলে নিয়ে কালোবাজারে বেচে দিতেন। বিক্রির টাকার ৬০ শতাংশ এমপির ছেলে সনি ও পিএস মিলনকে দিতে হতো। বাকি টাকা প্রকল্প সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দিতে হতো। লুটপাটের এ ঘটনাগুলোর মধ্যেই এতিমদের বরাদ্দের ৪০ টন চাল এমপির পিএস মিলন কালোবাজারে বিক্রি করে সমালোচিত হন। তবে এ ব্যাপারে পিএস মিলনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মাসুদ রানা বলেন, এমপির ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১৭ সাল থেকে আমাকে দূরে রাখা হয়। নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএনপি সমর্থক সিরাজুল ইসলাম লিটন নামের এক ব্যক্তিকে। জানতে চাইলে লিটন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা।
বাবা-ছেলে যা বলছেন
অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি হাবিবর রহমান বলেন, নিজ দলেরই কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে শুরু থেকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমি এলাকার অনেক উন্নয়নকাজ করেছি, যা দৃশ্যমান। এসব অপপ্রচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই না। তিনি বলেন, আমি বা আমার ছেলে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি নৌকাকে ভালোবেসে রাজনীতিতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে তিনবার মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি তাঁর নির্দেশনামতো চলার চেষ্টা করেছি। তবে জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যাতে আগামী নির্বাচনে আমি অংশ নিতে না পারি।
এমপির ছেলে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল সনি বলেন, বাবার পরিচয়ে চলি না। নিজ যোগ্যতায় দলে স্থান করে নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ঠিক নয়। আর ‘এমপি লীগ’ নামে কোনো আলাদা দলও কখনও করা হয়নি। তিনি বলেন, তৃণমূলের একটি গ্রুপ শুরু থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। এ কারণে আমি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদ নেওয়ার পর প্রায় এক বছর হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারিনি।
মন্তব্য করুন