- সারাদেশ
- স্ত্রীকে শান্ত করতে বিয়ে না করেও সহকর্মীকে তালাক, অতঃপর...
স্ত্রীকে শান্ত করতে বিয়ে না করেও সহকর্মীকে তালাক, অতঃপর...

স্ত্রীর সন্দেহ তার শিক্ষক স্বামী এক নারী সহকর্মীকে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ অবস্থায় স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতে আনোয়ার হোসেন অ্যাফিডেভিটের (হলফনামা) মাধ্যমে একটি ‘ভুয়া তালাকনামা’ তৈরি করেন। এতে স্ত্রী শান্ত হলেও বিপাকে পড়েছেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় শিক্ষক আনোয়ার হোসেন হয়েছেন চাকরিচ্যুত, যেতে হয়েছে কারাগারে।
আনোয়ার হোসেনের নারী সহকর্মী তালাকনামার বিষয়টি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। অভিযোগ করেছেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার বিয়েই হয়নি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী নারী ও ‘তালাক’ দেওয়া ব্যক্তি দুজনই উপজেলার রিচি হাইস্কুলের শিক্ষক।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে স্কুলশিক্ষক আদালতে তার নারী সহকর্মীকে তালাক দেওয়াসংক্রান্ত একটি অ্যাফিডেভিট করেন। কিন্তু বিয়ে না করেও তালাক দেওয়ার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে আদালত ওই নারী সহকর্মীর দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিলে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার ওই স্কুলশিক্ষককে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার শিক্ষকের স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। অন্যদিকে আদালতে মামলা করা নারী শিক্ষক বিধবা এবং তার একটি মেয়ে আছে।
এদিকে বিয়ে না করেও সহকর্মীকে তালাক দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার বিয়ে হয়নি। স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতেই ওই স্কুলশিক্ষক অ্যাফিডেভিট করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে জুলাই মাসে ধর্মীয় শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন