- সারাদেশ
- যুবক হত্যার গুজব ছড়িয়ে চার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ
যুবক হত্যার গুজব ছড়িয়ে চার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ
১১ গরু লুট

ফাইল ছবি
যুবক হত্যার গুজব ছড়িয়ে চারটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলাকারীরা নেত্রকোনা জেলা জজকোর্টের আইনজীবী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের খামার থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার ১১টি গরু লুটের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আমতলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হেকিম, বাবুল মিয়া, রবি মিয়া, নূরু মিয়া, আলমগীর, রমজান মিয়া, জহিরুলদের সঙ্গে আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আইনজীবীর দাবি, প্রতিপক্ষের আব্দুর রাজ্জাক গংরা তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা বাদি করে। গরুর খামার পরিচালনা করলে তাদের টাকা দিতেই হবে। এ নিয়ে শনিবার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মৃত বকুল মিয়ার ছেলে জাকির আহত হন। পরে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় জাকির মারা গেছেন। হত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়লে আমতলাসহ পাশের গ্রামের জাকিরের আত্মীয়স্বজনরা এসে রফিকের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। এছাড়া হাবিব মিয়ার গরুর খামার, জসীম উদ্দিনের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট এবং রফিকের খামার থেকে ১১টি গরু লুট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার রাতে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ দিকে আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, ‘জাকির নামের এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়। সেই ঘটনা আড়াল করতে রফিক তার খামার থেকে নিজেই গরুগুলো সরিয়েছেন। বরং আমাদের উপর গরু লুটের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যেই সংঘর্ষে একজন আহতও হন। তবে শুধু গরু লুটের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত ও গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন