খুলনার কয়রায় হরিণখোলা স্লুইস গেট সংলগ্ন বাধের ২০০ মিটার ধসে কপোতাক্ষ নদে বিলীন হয়ে গেছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জোয়ারের পানিতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।  

জানা গেছে, মাত্র দুই বছর আগে এই বাধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময় বাধের মাঝ বরাবর গর্ত খুঁড়ে দুই পাশে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ঢেউয়ে তোড়ে সেই মাটি ধুয়ে ধসে যাচ্ছে। ধসে যাওয়া স্থান সংস্কারের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। গত বছরও প্রায় ৩০০ মিটার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফের বাধ ধসে যাওয়ায় হুমকিতে পড়েছে গোবরা, ঘাটাখালি, হরিণখোলা গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে দুই হাজার একর আমনের খেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের তলিয়ে যাবে। 

হরিণখোলা এলাকার জিয়াদ শেখ বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বাধের কিছু মাটি ধসে যেতে দেখা যায়। সোমবার সকালে ভাটার সময় শতাধিক জিও ব্যাগ ও বাধের পাশের মাটি ধসে গিয়ে বালু বেরিয়ে যায়। দুপুর ও রাতের জোয়ারের আগে ব্যবস্থা না নিলে বালু ধুয়ে গোটা বাধ ভেঙে যেতে পারে বলে জানান তিনি। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম শেখ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অপরিকল্পিত কাজের কারণে দুই বছর না যেতেই বাধটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদের পানি প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে খুলনা-২ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোলায়মান হোসেন বলেন, জাইকার অর্থায়নে বাধটি পাউবো’র সাতক্ষীরা-২ বিভাগের কর্মকর্তাদের তদারকিতে মেরামত করা হয়। সেখানে চলমান আরও একটি প্রকল্প তারা বাস্তবায়ন করছে। এ কারণে ওই বাধ সংস্কারের দায়িত্ব তাদের। 

জানতে চাইলে পাউবো সাতক্ষীরা-২ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন আলী প্রথমে বলেন, কয়রা উপজেলার সকল কাজের দায়িত্ব এখন থেকে খুলনা অফিসের। পরে জানান, চলমান কয়েকটি প্রকল্প থাকায় ধসে যাওয়া বাধ মেরামতে তারা উদ্যোগ নেবেন।     

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, পাউবো’র সাতক্ষীরা অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।