- সারাদেশ
- ফুফুকে বিবস্ত্র করে মারধর, পরে শেকলবন্দী
ফুফুকে বিবস্ত্র করে মারধর, পরে শেকলবন্দী

মেহেরুনকে শেকল দিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। ছবি: সমকাল
‘আমার শিকলডা খুইলা দেন বাবা, আমি গত কাইলকা তাল খুঁটতে গেছিলাম। আমার ভাইয়ের পুত মিলন, আমগর ভাই রশিদ, মান্না আমারে লাঠি আর হাত দিয়া মারছে। রাইত থেইকা কিছুই খাই নাই, খাইতে দেয় না। আমার কোন দুষ নাই আমারে হুদাই মারছে।’
এভাবেই হাতে পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় কান্না করতে করতে অভিযোগ করছিলেন মেহেরুন। প্রতিবেশীরা জানায়, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে দানাপানি কিছুই পড়েনি মেহেরুনের পেটে। উল্টো তার হাত-পা শেকলে বেঁধে রেখেছে ঘরের খুঁটির সঙ্গে।
জানা গেছে, ঘটনাটি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আসিম ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে মেহেরুনের ভাইয়ের ছেলে মিলন তার ফুফুকে বিবস্ত্র করে মারধর করে। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে ঘরের খুুঁটির সঙ্গে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিলন জানায়, মেহেরুন সম্পর্কে আমার ফুফু। সে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার বিরুদ্ধে এলাকায় গাছ ভেঙে ফেলা, বিভিন্ন মানুষের ফল চুরি করাসহ নানা অভিযোগ আসে। তাই তাকে বাড়িতে আনার জন্য গিয়েছিলাম, সোজা কথায় আসতে না চাইলে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি মার দেই। তারপর তাকে এনে বেঁধে রাখি আমরা।
এ বিষয়ে মেহেরুনের বড় ভাই আব্দুর রশিদ বলেন, তাকে এনে ঘরে বেঁধে রাখলেও মারধর করা হয়নি।
স্থানীয়রা ঘটনাটি নেক্কারজনক দাবি করে বলেন, ভিক্ষা করে সংসার চালায় এই নারী। তাকে এভাবে বিবস্ত্র করে মারধরের শাস্তি দাবি করছি।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন