- সারাদেশ
- লাখ টাকায় সন্তান বিক্রি, বাবাসহ গ্রেপ্তার ৪
লাখ টাকায় সন্তান বিক্রি, বাবাসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রতীকী ছবি
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে এক লাখ টাকায় দেড় বছরের সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবা সালেহ নূর নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দেড় মাস আগে সন্তান মকবুল হাসানকে বিক্রি করেন তিনি। শিশুটির মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে সালেহ নূরসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় সুনামগঞ্জের ছাতক, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ ও নরসিংদী সদর থানায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদর গ্রেপ্তার করা হয়।
সালেহ নূর জামালগঞ্জের মল্লিকপুর গ্রামের সাবা উদ্দিনের ছেলে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- শান্তিগঞ্জ থানার বাবনিয়া গ্রামের মৃত আশক আলীর ছেলে মনফর আলী (৪৫), জগন্নাথপুর থানার কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত দারিছ মিয়ার ছেলে রমাই মিয়া (৫৫) ও নরসিংদী সদর থানার মৃত রফিক আলমের মেয়ে লাকি আক্তার (৩৮)। মঙ্গলবার তাদের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাফিয়া বেগম ও সালেহ নূরের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর একপর্যায়ে স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে দুই ছেলেসহ তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন সালেহ নূর। কিছু দিন আগে মায়ের কাছ থেকে সন্তানদের নিয়ে যেতে চায় তাদের বাবা। কিন্তু মা সন্তানদের নিয়ে যেতে দেননি। পরে দাদির অসুস্থতার কথা বলে সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যান বাবা সালেহ নূর। এর কিছুদিন পর সন্তান ছাড়াই আবারও স্ত্রীর বাবার বাড়িতে আসেন তিনি। তখন সন্তানদের খোঁজ করেন মা মাফিয়া। সন্তানরা ভালো আছে এবং বাড়িতেই আছে বলে জানান বাবা। তখন সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন মা। সালেহ নূর স্ত্রীকে বলেন, ছেলেরা তাদের দাদির সঙ্গে ঢাকা আছে। এ সময় সন্দেহ হয় মাফিয়ার। পরে শাশুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, বড় ছেলে রাব্বি হাসান তার দাদির কাছে আছে। ছোট ছেলে মকবুল হাসানের বিষয়ে তার দাদি কিছুই জানেন না। তখন ছোট ছেলের বিষয়ে জানতে স্বামীকে চাপ দিতে থাকেন মাফিয়া। এক সময় সন্তান বিক্রির কথা স্বীকার করে সালেহ নূর।
সালেহ নুর জানান, মনফর আলী ও রমাই মিয়ার সহায়তায় লাকী আক্তারের কাছে এক লাখ টাকায় ছেলেকে বিক্রি করেন তিনি।
শান্তিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন