- সারাদেশ
- কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করল ইবি ছাত্রলীগ
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করল ইবি ছাত্রলীগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে প্রশাসন ভবনের নিচতলায় হিসাব শাখায় এক কর্মকর্তার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্রলীগ নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট শাখার কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মাখনের কক্ষে অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এমদাদুল আলম। এ সময় কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির অংশ হিসেবে জাকিরকে প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন তিনি। এ সময় জাকির হোসেনের কক্ষে আরও কয়েকজন কর্মকর্তা এলে এমদাদুলের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়সহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে এসে এমদাদুল আলমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন ও মারধরে উদ্যত হন। এ সময় অন্য কর্মকর্তারা এমদাদুল আলমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে যান।
বিকেলে সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এমদাদুল আলম। তিনি বলেন, ‘সমিতির সদস্যদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে বাধা দিতেই ছাত্রলীগ নেতারা কয়েকজন কর্মকর্তার ইন্ধনে তাঁর ওপর হামলা করেছে। ছাত্রলীগ সম্পাদকের উপস্থিতিতে তাদের যুগ্ম সম্পাদক হোসাইন মজুমদার, সাবেক নেতা বিপুল হোসেন খান, কর্মী বাঁধন, শাহীন আলমসহ অনেকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং আটকে রাখে। যারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে, তারা অনেকেই পোষ্য কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। অথচ এখন তারা আমাদের পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল আন্দোলনের বিরোধিতা করছে। যারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রশাসন ভবনের নিচে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশাসন ভবনে বিশৃঙ্খলা দেখে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। পরে সেখানে উত্তেজিত ছাত্রদের বের করে নিয়ে এসেছি।
মন্তব্য করুন