ঢাকা সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

শেরপুরে আদালতের ফটকে বাদীকে ছুরিকাঘাত

শেরপুরে আদালতের ফটকে বাদীকে ছুরিকাঘাত

হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে আহত আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সমকাল

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:১২ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:১২

শেরপুরে মামলার বাদীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুর রাজ্জাককে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের চাপাঝোড়া গ্রামের বাসিন্দা। ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য তিনি।

জানা গেছে, ২০২১ সালে ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির দু’জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগ, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সাহাজউদ্দিন সাজু এ নিয়োগে দুর্নীতি করেছেন। তিনি ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে পরিচালনা কমিটির কাউকে না জানিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা করেন রাজ্জাক। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আদেশের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বের হওয়ার সময় মুখোশ পরা দুর্বৃত্ত তাঁর বুকের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন রাজ্জাক। লোকজন ও সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত ব্যক্তির বোন জামাই সরোয়ারের দাবি, সাজু মাস্টার তাঁর লোক দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১৬ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। নিয়োগটি অবৈধ। তাই রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে মেরে ফেলার জন্য ছুরিকাঘাত করা হয়। ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিচালনা কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে সাজু মাস্টার দু’জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। ১৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।’ এ ঘটনায় মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার জন্য প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সাহাজউদ্দিন সাজুকে দায়ী করেন। তাঁর ভাষ্য, মুখোশ পরা ব্যক্তি তাঁর বুকে ছুরি মেরেছে।

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সাহাজউদ্দিন সাজুর দাবি, নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি। টাকা লেনদেনও হয়নি। সব মিথ্যা কথা। তিনি বলেন, ‘আমাকে বিবাদী করে নিয়োগ কমিটির ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা জবাব দিচ্ছি। কারা রাজ্জাককে ছুরি মেরেছে, আমি জানি না। রাজ্জাককে মারার মতো রুচিবোধ আমার নেই। অন্য কেউ ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’


আরও পড়ুন