টঙ্গীতে ডোবায় মিলল লাশ
গানের শিক্ষকের গলা কাটল কে

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
গাজীপুরের টঙ্গীতে উদ্ধার হয়েছে মানসুরা আক্তার (২৭) নামে এক গানের শিক্ষিকার গলাকাটা লাশ। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজীপুরা পশ্চিম হাজী আরব আলী সড়কের একটি ডোবায় পাওয়া যায় তাঁর লাশ। আগের রাতে সৎ ছেলের বাসায় খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজের বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। মানসুরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা একজনকে সন্দেহ করলেও বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, রহস্য উন্মোচনে চেষ্টা চলছে।
মানসুরা গাজীপুর সদরের পিরুজআলী এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর মিয়াজীর মেয়ে। তিনি থাকতেন গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায়। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজের পাশাপাশি জিত মিউজিক একাডেমি নামের প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর। সেখানে গানের ক্লাস নিতেন।
ছোট বোন সায়মা আক্তারের ভাষ্য, চন্দ্রশেখর মণ্ডলের গীতাঞ্জলি একাডেমিতে গান শিখতেন মানসুরা। সেখানে পরিচয়ের সূত্র ধরে বছর পাঁচেক আগে বিবাহিত চন্দ্রশেখরকে বিয়ে করেন। চন্দ্রশেখরের আগের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বছরখানেক আগে তিনি মারা যান।
সায়মা বলেন, চন্দ্রশেখরের ছেলে নিলয় মণ্ডল জুয়েলের সঙ্গে মিলে মানসুরা জিত মিউজিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। নিলয়ের বাসায়ই তিনি খাওয়া-দাওয়া করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকে খেয়ে বাসার উদ্দেশে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরা পশ্চিমপাড়া হাজি আরব আলী সড়কের ডোবায় লাশ দেখে পুলিশে জানায় এলাকার লোকজন। সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন পোশাক দেখে মানসুরাকে শনাক্ত করেন।
নিলয় মণ্ডল জুয়েলের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একাডেমি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় চা দোকানে বসেছিলেন তিনি। মানসুরা ৯টার দিকে একাডেমি বন্ধ করেন। একসঙ্গে তাঁর বাসায় যান খেতে। রাতের খাবার শেষে তিনি বাসায় ফিরে যান। জুয়েলের জানা মতে, মানসুরার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। সায়মার স্বামী এরশাদ হোসেন জানিয়েছেন, একই এলাকার আসাদ নামের একটি ছেলে মানসুরাকে বিরক্ত করতে বলে শুনেছেন। কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তিনি রাজি হননি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বকর সিদ্দিক লাশ উদ্ধারের সময় এলাকায় ছিলেন না। তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে সচিবকে পাঠিয়েছিলেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম বলেন, এ হত্যায় কারা জড়িত বা কী কারণে হত্যা করা হয়েছে– তা জানার চেষ্টা করছেন। দ্রুতই অপরাধীদের শনাক্ত করার আশা করছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সায়মা আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।