ঢাকা বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শিশু রাতুল হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

লাশে লবণ মাখিয়ে মাটিচাপা, গ্রেপ্তার ২

লাশে লবণ মাখিয়ে মাটিচাপা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:১৯ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:১৯

পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে অপহরণের এক সপ্তাহ পর শিশু রাতুলের মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতভর সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের সেহাকাঠি এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই ঘাতককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– সদর উপজেলার ছোট আউলিয়াপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন ও সেহাকাঠি এলাকার হানিফ হাওলাদার।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাতুলকে হত্যা ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতদের এদিন বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর এলাকার গোলাম রহমান লিটনের ১০ বছর বয়সী ছেলে রাতুলকে সাইকেল কিনতে ১৪ হাজার টাকা দেওয়ার লোভ দেখায় আসামিরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, লিটনের বসতঘর সংলগ্ন ডেকোরেটর থেকে মালপত্র চুরি করা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাতুলের মাধ্যমে তার বাবা-মা ও দাদিকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এর পর আনোয়ার, হানিফ ও তাদের সহযোগীরা গভীর রাতে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ডেকোরেটর দোকানের সব মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয়, সে জন্য ওই রাতেই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী শিশু রাতুলকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে আনোয়ার। এর পর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের জয়নাল বিশ্বাসের বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে। সেখানে আসামিরা লাশে লবণ মাখিয়ে মোটা পলিথিনে মুড়ে ঘরের কাঁচা মেঝে খুঁড়ে মাটিচাপা দেয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শিশু রাতুলকে খুঁজে না পেয়ে ২১ সেপ্টেম্বর তার বাবা লিটন সদর থানায় মামলা করেছিলেন। ইতোমধ্যে রাতুলের লাশের পাশাপাশি লিটনের ডেকোরেটর দোকান থেকে চুরি যাওয়া মালপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন