ককটেল বিস্ফোরণ-গাড়ি ভাঙচুর
সাভার বিএনপির ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:৫১ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:৫১
ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার সাভার বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল জলিল মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আক্তার হোসেন কবিরাজ (৫২), উয়ালিউল্লাহ ওয়ালিদ (৩৭), মো. সজীব হোসেন (৩৪) ও ওসমান গনিকে (৪৫)। তাদের মধ্যে আক্তার হোসেন কবিরাজ সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ওসমান গনি ভাকুর্তা ইউনিয়ন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার মঈনুল হোসেন বিল্টু, সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফুদ্দিন, সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানসহ ৪০ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সাভারের আমিনবাজারে মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশ হয়। ওই দিন সাভার মডেল থানা-পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাভারের হেমায়েতপুরে তানিন প্লাস্টিক চেয়ার কারখানার গোডাউনের সামনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো রঙের শপিং ব্যাগে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল, তিনটি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা, নয়টি কাচের টুকরা ও বিএনপির এক দফা দাবি সংবলিত ব্যানার উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আবদুল জলিল জানান, আমিনবাজারে বিএনপির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা হেমায়েতপুরে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
এ দিকে ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন স্থানীয় দোকানদার বলেন, ‘আমরা দোকানে বেচা বিক্রিতে ছিলাম। হঠাৎ পরপর তিনটি শব্দ শুনতে পাই। এর কিছুক্ষণ পরই দেখি সেখানে পুলিশ। এরপর আর আমরা কিছুই জানিনা।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘সমাবেশ শেয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় দিয়ে আমারা যার যার বাসায় চলে যাই। যাদেরে আসামি করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল যেখানে দেখানো হয়েছে তারা সেখানে যাননি। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই এ সব গায়েবি মামলা করা হয়েছে। মামলায় নিরপরাধ মানুষদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
- বিষয় :
- ককটেল বিস্ফোরণ
- গাড়ি ভাঙচুর
- সভার
- বিএনপি
- মামলা
- গ্রেপ্তার