ঢাকা সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

তরুণরা নতুন নেতৃত্ব চায়: আবুল কাসেম ফজলুল হক

তরুণরা নতুন নেতৃত্ব চায়: আবুল কাসেম ফজলুল হক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:৩১ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:৩১

রাষ্ট্রবিশ্লেষক, সমাজচিন্তক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘তরুণরা এখন নতুন নেতৃত্ব চায়। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপি, ভারতে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে এখন শৃঙ্খলা নেই। সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে এখন নির্বাচনতন্ত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটার এখন পরিবর্তন দরকার। বর্তমানে নতুন নেতৃত্ব, নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন।’

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘আজকের বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক এ অধ্যাপক এ সব কথা বলেন। তাঁর ৮৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসঙ্ঘ।

দীর্ঘ জীবনের স্মৃতিচারণ করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘দারিদ্র্য সবচেয়ে বড় ব্যাধি। ছোটবেলা থেকে আমি নানা বিপর্যয় দেখেছি। দারিদ্র্য আমাকে সবচেয়ে পীড়া দিয়েছে। তখন আমি ভেবেছি, অন্যায্যতার জায়গায় ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র যদি কাজ করে তাহলে এটি ভালোর দিকে যেতে পারে। বর্তমানে সেইরকম দারিদ্র্য নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণে অগ্রগতি হয়েছে। উচ্চ ফলন বেড়েছে, ভালো কাপড় পড়েই মানুষ থাকছে। পুরো পৃথিবীতে সেটি হয়েছে। তবে এযাবতকালে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নানা ধারণা তত্ত্ব, মতবাদ এলেও মানুষের মনোজগত সবসময় উপেক্ষিত থেকেছে। মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন না হলে পরিত্রাণ সম্ভব নয়।’

বরেণ্য এ অধ্যাপক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা উচিত। দেশের মানুষ এখন নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব চায়। আমি এটি অনেক বছর ধরে দেখেছি। আমি ২৮ দফা দিয়েছি, এরসঙ্গে অনেকে একমত হয়েছেন। এরফলে আমি যেটা দেখেছি, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণরা নতুন দল চান।’

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘ভদ্রলোকের’ জন্য বাংলাদেশ খুব একটা খারাপ রাষ্ট্র নয়। কারণ এখানে লুটপাটের অবাধ সুযোগ আছে, দ্রুত টাকা পাচার ও মানুষ পাচারের দারুণ বাস্তবতা আছে। ফলে ভদ্রলোকের জন্য এ অবস্থা মোটেও খারাপ নয়। হয়ত ক্ষমতার কেন্দ্রে না থাকায় কারো কারো মন খারাপ হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘আজকের দিনে যে উৎপাদন ব্যবস্থা, ১০ বছর যদি সুষ্ঠুভাবে দেশ চলে তাহলে কোটি কোটি মানুষের জীবনে কী উন্নতি হয় তা আমরা গত বিশ-ত্রিশ বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখেছি। কিন্তু গত পঞ্চাশ বছরে আমরা সেদিকে যেতে পারিনি। ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ আলাপ আবেগসর্বস্বই।’    

বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসঙ্ঘের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আবুল কাসেম ফজলুল হকের সহধর্মিনী ফরিদা প্রধান, তাঁর কন্যা শুচিতা শারমিন, পুত্রবধূ রাজিয়া রহমান, কবি সোহরাব হোসেন, লেখক মুস্তাক হোসেন, কবি হাসান ফকরী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সৈয়দা নাজনীন আখতার।

আরও পড়ুন