নদীতে ইলিশ নেই, সাগরেও কম

ফাইল ছবি
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ০৪:০২
লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে এবং সাগরে ইলিশ কমে যাওয়ায় মাছঘাটগুলোতে এর তেমন একটা দেখা মেলেনি। মৌসুমের শেষের দিকেও আশানুরূপ মাছ নেই ঘাটগুলোতে। রামগতি মাছঘাট, আলেকজান্ডার ও শেখ রাসেল ব্রিজ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অল্প পরিমাণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই সাগরের মাছ। মেঘনা নদীর ইলিশ তেমন দেখা যায়নি।
ঘাটের জেলে, আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, নদীর পাশাপাশি সাগরেও তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না।
জেলে শরীফ ও রাশেদ জানান, তারা মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করেন। ছোট নৌকা, তাই সাগরে যেতে পারেন না। কিন্তু ডুবোচরের কারণে মেঘনা নদীতে তেমন মাছ নেই। সাগরে কিছু মাছ পাওয়া যায়।সাগরের জেলে আলমগীর ও বাবুল জানান, তিন থেকে চার দিনের জন্য নদীতে মাছ শিকারে যান তারা। খাবারসহ খরচ হয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। মাছ পান ৭০-৮০ হাজার টাকার। তা বিক্রি করে পোষায় না তাদের।
আলেকজান্ডার ঘাটের জেলে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সাগরে চার দিন অবস্থান নিয়ে মাছ শিকার করে ঘাটে ফিরেছি। ২০ জন মিলে যে মাছ পেয়েছি, সেগুলো ঘাটে প্রায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ১ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। অনেক সময় লোকসান গুনতে হয় আমাদের। গেল বছরের ঠিক এমন সময়ে সাগরে মাছ বেশি ছিল।’
রামগতি মাছঘাটে মাছ কিনতে আসা মো. সোহেল সওদাগর জানান, দেড় কেজি ওজনের চারটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২০০ টাকায়। ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছের হালি ৩ হাজার ৫০০ টাকা আর ছোট আকারে জাটকা (২০০ গ্রাম ওজনের) মাছের হালি বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকায়। এগুলো সাগরের মাছ, নদীর ইলিশের দাম আরও বেশি।
ব্রিজঘাট এলাকার আড়তদার মীর হাসান মাহমুদ জানান, নদী ও সাগরের মাছে ঘাটগুলো ভরপুর থাকার কথা। এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু পরিবেশ এখন একেবারে উল্টো। ঘাটে মাছ নেই।
মেঘনা নদীতে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ এবং সাগরে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ মাছ কমে গেছে। আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় ঘাটেও বেচাবিক্রি কম। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নদী ও সাগরে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের জীবিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ জেলায় নিবন্ধিত জেলে ৪২ হাজার, এর মধ্যে রামগতিতে নিবন্ধিত ২০ হাজার।
- বিষয় :
- লক্ষ্মীপুর
- নদী
- সাগর
- ইলিশ