ঢাকা সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

ছিঁড়ে ফেলা পোস্টার। ছবি: সমকাল

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ১৭:০৬ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ১৭:০৬

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে বেশ আগেই। নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার টাঙাচ্ছেন তাদের অনুসারীরা।

গত কয়েক দিন ধরে এসব প্যানা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছিঁড়ে ফেলা এসব প্যানা-পোস্টারের ছবি দিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তারা।

মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে প্যানা ও পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা শুরু হয়। রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা এসব অপকর্ম করছে। বিষয়টি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে।

২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রেম কুমার মণ্ডল তাঁর ফেসবুক আইডিতে ছেঁড়া প্যানার ছবিসহ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্যানা ও পোস্টার ছেঁড়ার মতো নীচু মানসিকতার কাজ যারা করেছেন বা করাচ্ছেন, তাদের পাশে নিয়েই আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাইব।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর দেওয়া এ পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শতাধিক মানুষ। মাসুম বিল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, ‘দিন দিন বেড়েই চলেছে নোংরামি। এরা রাজনীতি না ভাইনীতিতে বিশ্বাসী।’

২৮ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেলের পোস্টার ও প্যানাফ্লেক্স ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। ছিঁড়ে ফেলা ব্যানারের ছবি দিয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সবশেষ সোমবার কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জি এম মোহসীন রেজার প্যানাফ্লেক্স ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা ছিঁড়ে ফেলা প্যানাফ্লেক্সের ছবি পোস্ট করে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসীন রেজা জানান, দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার কারণেই কাজ করছেন তিনি। এটিকে অনেকেই ভালোভাবে দেখছেন না। যে কারণে অনেকেই হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। এটি কারও জন্যই ভালো নয়।

কয়রা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পোস্টার ছেঁড়া হীন মানসিকতার পরিচায়ক। এ ঘটনায় কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ জানান, দলীয় মনোনয়নের আশায় একাধিক প্রার্থী প্রচার চালাতে পারেন। তাই বলে কারও পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা কোনো ভালো কাজের মধ্যে পড়ে না। এটি হিংসাত্মক রাজনীতি। আওয়ামী লীগ হিংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ জড়িত কিনা সেটিও ভেবে দেখা দরকার।

আরও পড়ুন