দুই ভাই মিলে শিশুকে হত্যা

নিহত ফাতেমা। ফাইল ছবি
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ০৫:৩৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ০৫:৩৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় অপহরণের পর মুক্তি পণ না পেয়ে ফাতেমা নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে উপজেলার চান্দল বিল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন ও ফুফাতো ভাই লাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকি কান্দি গ্রামের বাসেদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমা শুটকি কান্দি কিন্ডারগার্টেনের নার্সারি বিভাগের শিক্ষার্থী। সে গত শনিবার সন্ধ্যায় চাচার বাড়িতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে সোমবার সকালে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় নিহতের বাবা বাসেদ মিয়া জিডি করেন। এর পর ‘কবিরাজ বাবা’ নামের একটি ইমো নাম্বার থেকে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয় নিহতের মা রুবি আক্তারের মোবাইল ফোনে। এই বার্তার সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় আলাউদ্দিনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে লাজিমও জড়িত বলে পুলিশকে জানান তিনি। পুলিশ তাকেও আটক করে।
পুলিশ আরও জানায়, ফাতেমাকে তুলে নিয়ে চান্দল বিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন দুই ভাই। পরে বিলের কচুরিপানার নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মা রুমি আক্তার জানান, ‘আমার মেয়ের তো কোনো অপরাধ ছিল না। কেন এমন করল তারা? আমার কাছ থেকে টাকা লাগলে চাইতো। আমার মেয়েকে মারল কেন? আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম জানান, নিহতের মা রুমি আক্তারের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এর সূত্র ধর দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
- বিষয় :
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- মুক্তিপণ
- হত্যা
- গ্রেপ্তার