ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

তীব্র গরমেও সহিংসতা, ২৫ দিনে আহত ১১৭

সংঘাত-হামলার ঘটনায় ১৪টি মামলা হয়েছে

তীব্র গরমেও সহিংসতা, ২৫ দিনে আহত ১১৭

সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে কামাল হোসেন। ছবি: সমকাল

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮:৩৯

নাটোরের গুরুদাসপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ কিংবা গরমেও থেমে নেই সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা। বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মারামারি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসের ২৫ দিনে সংঘাতে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ১১৭ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২৫ দিনে বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা নিয়ে ১৪টি মামলাও রেকর্ড হয়েছে গুরুদাসপুর থানায়। এ ধরনের সংঘাত বন্ধ করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে মানুষের মধ্যে হৃদ্যতা কমে যাওয়ায় সহিংসতা বেড়েছে। সামাজিক এবং প্রশাসনিকভাবে উপজেলাব্যাপী সাধারণ মানুষকে নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার করা দরকার। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে যেসব সহিংসতা ঘটছে, সেগুলো কোনোভাবেই কাম্য নয়। বড় কথা হলো, সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে।

রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রভাষক মো. মাজেম আলী মলিন বলেন, আইনের প্রতি বিশ্বাস রেখে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ঘটনাগুলো সমাধান করতে হবে। পাপ, অসত্য, অন্যায় থেকে মন ফিরিয়ে সত্য, সুন্দর ও ভালো কাজে মনোনিবেশ করতে পারলে সংঘাত-সহিংসতা কমানো সম্ভব।

উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশির ভাগ সংঘাতের ঘটনা তুচ্ছ কিংবা পূর্বশত্রুতার জেরে হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘটনায় উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ সদস্যরা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত বুধবার পুকুর খননের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় চাপিলা ইউনিয়নের বাজার পরিদর্শক কামাল হোসেনকে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

একই দিন পৌরসভার খলিফাপাড়া মহল্লায় এক যুবককে পূর্বশত্রুতার জেরে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৫ দিনে ১১৭ জন নারী-পুরুষ সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই ধারালো অস্ত্র কিংবা লাঠি-বাটামের আঘাত নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, উপজেলায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে সংঘাত বন্ধে কাজ করছে পুলিশ। নিয়মিত প্রতিটি এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তারের কাজও চলছে। সংঘাত-সহিংসতায় না জড়িয়ে সবাইকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন

×