ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সভায় বক্তারা

পুষ্টিবান সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি

পুষ্টিবান সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি

ছবি-সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪ | ১৩:০০

পুষ্টিবান সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। এ বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর তাগিদ দেন তারা।

বৃহস্পতিবার নগরের জিইসি মোড়ের দি পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) বাস্তবায়নের লক্ষে বিভাগীয় বহুখাত ভিত্তিক রিসোর্স দলের (ডিএমআরটি) সভায় এই মন্তব্য করেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, প্রাণি, পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা। 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. সুমন বড়ুয়া। সভায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের (বিএনএনসি) মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহিনা সুলতানা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির, বিএনএনসি’র পরিচালক ডা. তাহেরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. গাজী গোলাম মওলা ও এডাপ্টিং এ মাল্টিসেক্টরাল এপ্রোচ নিউট্রিশন (আমান) প্রজেক্টের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম। 

সভায় বক্তারা বলেন, সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য খেতে না পারায় অপুষ্টির মূল কারণ। আমরা পুষ্টিহীন কাউকে দেখতে চাই না। খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। পুষ্টির অভাবে একজন শিশু প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হতে পারে। পুষ্টি নিয়ে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। একজন প্রশিক্ষিত মা-ই পারে একটি শিশুকে সুন্দর করে লালন পালন করতে। গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি ও মনো-সামাজিক বিকাশের দিকে নজর দিতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুদের মস্তিষ্কের সার্বিক গঠন নিশ্চিত করা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুষ্টিবান সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। 

তারা আরও বলেন, একটি শিশু জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের বুকের শাল দুধ দিতে হবে। শিশুর জন্মের দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের সার্বিক পুষ্টির চিত্র উন্নয়নে স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সকল সরকারি বিভাগ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা গেলে পুষ্টিবান জাতি গঠন সম্ভব। দূষিত পানি বা দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা তৈরি করে। এসবের প্রভাব একজন ব্যক্তির ওপর দীর্ঘমেয়াদি। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন

×