কয়রা উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান শফিকুলের সম্পদ বেড়ে ৩ গুণ

প্রতীকী ছবি
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪ | ০০:২৮
খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামের গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে তিন গুণ। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর দাখিল করা হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৩ লাখ টাকা। আগামী ২৯ মে এই উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে সম্প্রতি দাখিল করা শফিকুলের হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর মোট সম্পদ বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
কয়রা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের জন্য এবার লড়ছেন আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী। তারা হলেন– বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসীন রেজা ও আওয়ামী লীগের কর্মী অনাদি সানা। এর মধ্যে সম্পদে শফিকুল, স্বর্ণে মোহসীন রেজা ও শিক্ষায় অনাদি সানা এগিয়ে।
হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুলের গত পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে চার গুণ; তবে স্থাবর সম্পত্তি কমেছে। এ সময় তাঁর ব্যবসায়িক আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। অপরদিকে মোহসীন রেজার ২০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। বেড়েছে বার্ষিক আয়ের পাশাপাশি স্থাবর সম্পত্তিও। তবে নতুন প্রার্থী অনাদি সানার ব্যাংক হিসাবে রয়েছে মাত্র ৪ হাজার টাকা।
নিজের পেশা মৎস্য চাষ ও ঠিকাদারি ব্যবসা দেখিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বছরে কৃষি খাত থেকে বার্ষিক ৩ লাখ ও ব্যবসা থেকে ২০ লাখ টাকা আয় করেন। তাঁর কাছে নগদ টাকা রয়েছে ৭ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৯০ লাখ টাকা। মোহসীন রেজাও পেশা দেখিয়েছেন কৃষি ও মৎস্য চাষ। তিনি বছরে কৃষি খাত থেকে ২ লাখ টাকা ও ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় করেন। তাঁর কাছে নগদ ১০ লাখ ৬৬ হাজার এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৬৭ হাজার ৭২০ টাকা। স্ত্রীর নামে জমা রয়েছে ৯১ হাজার ১৭০ টাকা।
অন্যদিকে পেশায় আইনজীবী অনাদি সানা নিজের বার্ষিক ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। তাঁর ওপর নির্ভরশীলরা বছরে আয় করেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে নগদ ৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ও স্ত্রীর রয়েছে ১ লাখ টাকা।
- বিষয় :
- উপজেলা নির্বাচন