পাবনায় স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
পাবনা অফিস
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪ | ০০:৫১
পাবনার সুজানগর উপজেলায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ভাটপাড়ার এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। পরিবার বলছে, ধর্ষণে জড়িতরা গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওহাবের লোক। ভুক্তভোগীর আত্মীয়স্বজন অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শৌচাগারে যাচ্ছিল ওই শিক্ষার্থী। এ সময় এলাকার যুবক বারেক, ইমন ও সাজিদ তাকে জোর করে তুলে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে যায়। পরে তাদের দলে যুক্ত হয় একই এলাকার সাব্বির ও তুহিন। পাঁচজন ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর নানি জানান, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন (আনারস)। তাঁর পক্ষে কাজ করেন ভুক্তভোগীর আত্মীয়স্বজন। নির্বাচনে পরাজিত হন শাহীন। এরপর ১৪ মে তাঁর সমর্থক ও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মামার দোকান ভাঙচুর করে বিজয়ী চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাবের সমর্থকরা। তারাই শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে।
শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, নির্বাচনের রাত থেকে আমার অনুসারীদের অন্তত শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে আবদুল ওহাবের লোকজন। তাদের ঘটানো সর্বশেষ ন্যক্কারজনক ঘটনা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ। এ ঘটনার জন্য নিজেকেই দোষী মনে হচ্ছে। নিজের কর্মী-সমর্থকদের রক্ষা করতে পারছি না। এসব ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান আবদুল ওহাবের দাবি, ধর্ষণে জড়িতরা তাঁর লোক নয়। নির্বাচনের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সুজানগর থানার ওসি মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর নানি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নির্বাচনের সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা তদন্তের পর জানা যাবে।
শাহিনুজ্জামান শাহীনের অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, নির্বাচনের পর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এ-সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের পর পাঁচটি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
- বিষয় :
- ধর্ষণ