ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ঝগড়া থামতে বলায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে মারধর

ঝগড়া থামতে বলায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে মারধর

ফাইল ছবি

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪ | ১৯:৩১

কুমিল্লার তিতাসে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে মারধর করেছে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে অন্য শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

অভিযুক্ত সোলায়মান মজিদপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এবং নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য জসিম উদ্দিনের ভাতিজা।

মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবম শ্রেণির গণিত বিষয়ে পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষে যান সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান। এ সময় শিক্ষার্থী সোলায়মান ও মাসুম একে অপরের সঙ্গে অশ্রাব্য বাক্য বিনিময়ে কথাকাটাকাটি করছিল। তাদের শান্ত হতে বলেন শিক্ষক আতিকুর রহমান। কিন্তু সোলায়মান শান্ত না হয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অশ্রাব্য বাক্য প্রয়োগ করে তেড়ে যায়। এ সময় অভিভাবককে কল দেওয়ার জন্য পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করেন ওই শিক্ষক। এতে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল-ঘুসি মারতে থাকে সোলায়মান। এক পর্যায়ে তাঁর গলা ধরে টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে আহত করে। এ সময় আতিকুর রহমানের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। সোলায়মানকে মারধর করতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে তারা। এ অবস্থায় তাকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখেন শিক্ষকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে সোলায়মানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর বলেন, ‘হইচই শুনে আমরা নিচতলা থেকে দোতলায় গিয়ে দেখি, আতিক স্যার আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা দুঃখজনক। এর সঠিক বিচার চাই আমরা।’

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাশ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ছেলেটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। শিক্ষকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই আলোকে পুলিশ কাজ করবে।

আরও পড়ুন

×