ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

রাবির দর্শন বিভাগ

চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৫ শিক্ষার্থীর অনশন

চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৫ শিক্ষার্থীর অনশন

ছবি- সমকাল

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪ | ২২:২৬

মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষার্বষের ৩৫ শিক্ষার্থী অনশন করেছেন। ক্লাস উপস্থিতি কম থাকায় তাদের ডিসকলেজিয়েট (পরীক্ষা দেওয়ার অযোগ্য) ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিভাগের ফটকে তালা লাগিয়ে অনশন শুরু করেন তারা। দুপুরে বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিলে অনশনকারীরা সেখান থেকে সরে যান।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিগত সময়ে ডিসকলেজিয়েট হয়েও বিশেষ বিবেচনায় অনেকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। বিভিন্ন কারণে তারা ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিত থাকতে পারেননি। সে জন্য তারা ভুল স্বীকার করেছেন। তবুও তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

এ সময় তাদের হাতে ‘পরীক্ষার সুযোগ চাই’, ‘মরব না হয়, পরীক্ষা দেব’, ‘তিন বছরের ক্ষতির দায় কে নেবে?’, ‘করোনায় এক বছর হারিয়েছি’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

অনশনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ইয়ার সিস্টেমে আমরা মাস্টার্সের শেষ বর্ষ। এবার যদি আমরা পরীক্ষা দিতে না পারি, তাহলে আমাদের আরও দেড় বছর পিছিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর আগেও অন্যান্য ব্যাচে ডিসকলেজিয়েট হয়েও পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা শেষবারের মতো সুযোগ চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কয়েকদিন আগেও আমাদের বলা হয়েছে, পরীক্ষা দিতে পারব। এই আশ্বাস দিয়ে আমাদের শিক্ষা সফরেও নিয়ে গেছে বিভাগ। শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই চান, আমরা পরীক্ষা দিই। কিন্তু চেয়ারম্যান এবং কয়েক শিক্ষক চাচ্ছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুসারে, ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৭৫ শতাংশ হলে কলেজিয়েট, ৬০ শতাংশের ওপরে নন-কলেজিয়েট এবং ৬০ শতাংশের নিচে ডিসকলেজিয়েট হিসেবে গণ্য হয়। এ ক্ষেত্রে নন-কলেজিয়েটরা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। কিন্তু ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ নেই। ফলে পরের বছর তাদের এই শর্ত পূরণ করেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলুফার আহমেদ বলেন, ওই শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করায় ডিসকলেজিয়েট হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাই বলবৎ থাকবে।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সউদ বলেন, গতকাল কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। আমি বিষয়টি উপ-উপাচার্যকে জানিয়েছি। তবে অনশনের বিষয়ে কিছু জানি না।

আরও পড়ুন

×