অপহরণের ৭ দিন পর ছাত্রাবাসে তরুণের লাশ

তপু হোসেন
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪ | ০০:৫৩
অপহরণের সাত দিন পর ছাত্রাবাসের ট্রাঙ্কে পাওয়া গেল তপু হোসেন নামে এক তরুণের অর্ধগলিত লাশ। বস্তায় ভরে লাশ ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাত ১২টায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পাশে মশুরিয়াপাড়া মহল্লায় অরণ্য ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তপু মশুরিয়াপাড়া এলাকার রিকশাচালক আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি জানান, ১৫ জুন বেলা ১১টা থেকে তপুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে তপুর মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশে ৩০ হাজার টাকা না দিলে তাঁকে হত্যা করা হবে। হাতে অতো টাকা নেই বললে গালাগাল করা হয়। তিনি ঈশ্বরদী থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলামকে অবহিত করেন। পরে বিকাশে অপহরণকারীদের কাছে ৭ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। তার পর থেকে তপুর মোবাইল ফোন আবারও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন তপুর মা মজিরন বেগম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সহায়তায় রাজশাহী থেকে আসা সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট লাশ উদ্ধার করে। এর পর গভীর রাতে আতাইকুলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জয় নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলিফ হোসেন ও মনিরুজ্জামান নামে দুই কিশোরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
তপুর বড় ভাই অপু হোসেন জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বাড়ির পাশের ওই ছাত্রাবাসে তপুকে নিয়ে তিনতলার কক্ষে হত্যা করার পর লাশ বস্তায় ভরে রেখে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
অরণ্য ছাত্রাবাসের ৩০৪ নম্বর কক্ষে থাকা ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ১১ জুন আমি বাড়িতে চলে যাই। গত শনিবার দুপুরে ছাত্রাবাসে ফিরে আসি। দরজার কাছে এসে দুর্গন্ধ পাই। পাশের ৩০৫ নম্বর কক্ষ থেকে দরজার নিচ দিয়ে বের হওয়া রক্ত দেখতে পেয়ে মেস মালিককে জানাই। পুলিশ সদস্যরা এসে কক্ষের তালা খুলে ট্রাঙ্কের ভেতরে রাখা মরদেহ পান।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তপু এলাকার কয়েকজন মাদকাসক্তের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।