মরদেহ বাথরুমে ঝুলিয়ে পলাতক স্বামী-সন্তান

প্রতীকী ছবি
পাবনা অফিস
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪ | ১৭:৫১ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ | ১৭:৫২
পাবনার সাঁথিয়ায় রিক্তা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর বাথরুমে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও সন্তানের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যায় কাশিনাথপুর শগুইনা গ্রামে রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই রিক্তার স্বামী ও ছেলে পলাতক।
রিক্তা খাতুন কাশিনাথপুর ইউনিয়ন শগুইনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামাণিকের স্ত্রী ও আমিনপুর থানার নয়াবাড়ি গ্রামের মোবুদ্ধি শিকদারের মেয়ে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর প্রামাণিক ও তার ছেলে দুরন্ত মাদকাসক্ত। দুরন্ত প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মা রিক্তার সঙ্গে ঝগড়া করত। টাকা না দিলে মাকে মারধর করত। অনেক সময় মারধরে ছেলের সঙ্গে যোগ দিত বাবাও। ছেলে-স্বামীর অত্যাচার রিক্তা প্রায়ই বাবার বাড়ি চলে যেত। সোমবার দুপুরে এক প্রতিবেশী রিক্তাদের বাথরুমে অস্বাভাবিক কিছু আছে অনুমান করে উকি দেন এবং দেখেন ঝুলছেন রিক্তা। এরপর আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
রিক্তার স্বজনরা জানায়, রিক্তার সারা শরীর জখমে ফুলে রয়েছে। তার নাক–মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্বামী ও ছেলে মিলে রিক্তাকে আগেও বেধড়ক মারপিট করছে। এবারও তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল তারা।
রিক্তার বাবা মোবুদ্ধি শিকদার বলেন, মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের স্বামী ও ছেলে নেশাগ্রস্ত বলে জানিয়েছে স্বজনরা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- পাবনা
- মরদেহ উদ্ধার
- গৃহবধূ