ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বন্ধ ৩৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৯ কমিউনিটি ক্লিনিক

বন্ধ ৩৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৯ কমিউনিটি ক্লিনিক

বন্যার পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুরের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই একটি ইসলামপুর উপজেলার এসএন উচ্চ বিদ্যালয় সমকাল

জামালপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ০০:৩৩

জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি। তবে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি জমে থাকায় এখনও সাত উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানির চাপে ভেঙে গেছে এলাকার অনেক কাঁচা-পাকা সড়ক। পানিতে তলিয়ে গেছে একাধিক ডাইভার্সন সড়ক। ফলে বন্যার পানি এখনও হু-হু করে ঢুকছে গ্রামীণ জনপদে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে দুর্গত এলাকার সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে ডুবে আছে এলাকার ২৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। 
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোজাম্মেল হাসান জানান, বন্যার পানি ওঠায় ৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে ৯২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, বন্যার পানিতে চার দিন ধরে নিমজ্জিত রয়েছে প্রায় আট হাজার হেক্টর জমির ফসল। এর মধ্যে রয়েছে আউশ ধান, রোপা আমনের বীজতলা, পাট, মরিচ, তিল, কলা ও ভুট্টা।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, পানি ওঠার কারণে জেলার ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছে ৬৭টি মেডিকেল টিম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বানভাসি মানুষ 
সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত ৩২০ টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান সমকালকে বলেন, দুই দিন ধরে জেলা ত্রাণ কর্মকতাকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় গিয়ে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন। জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ জিআরের চাল ও ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। যখন যেখানে চাল বা ত্রাণের প্রয়োজন, সেখানেই বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
তবে বানভাসি মানুষের অভিযোগ, দুর্গত এলাকার বেশির ভাগ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। তারা উঁচু রাস্তা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নিজ নিজ বাড়িঘরে টং পেতে বসবাস করছে। এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজখবর নেননি, এমনকি কোনো ত্রাণসামগ্রীও পাননি।

আরও পড়ুন

×